পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাঘনখ

ছবি
ফুলের নাম- বাঘনখ  বৈজ্ঞানিক নাম- Martynia annua(Syn. Martynia diandra)  পরিবার- Martyniaceae  অন্যান্য নাম- ইংরেজিতে Devil's Claws, Tiger's Claw, Cat's claw; হিন্দিতে উলট-কাঁটা, বাঘনখ, हाथाजोड़ी Hatha-jori প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।  Martynia গণের একটিমাত্র প্রজাতি Martynia annua(Syn. Martynia diandra)। গণের নাম Martynia রাখা হয়েছে ক্যামব্রিজের বোট্যানি গবেষক জন মার্টিন এর সম্মানার্থে।  মেক্সিকোর প্রজাতি। সাধারণত ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয় এই গাছগুলো। গাছের পাতা ৬-১৫ সেমি চওড়া, উভয়পৃষ্ট রোমশ, পাতার ডাঁটা ৯-১৪ সেমি লম্বা। ফুল ঘন্টার মতো, সাদা আর রক্তবেগুনি বর্ণে সাজানো। ফুল থেকে সৃষ্ট pod শুরুতে সবুজ এবং পরে কালো বর্ণধারণ করে। এই seed pod গুলোই মূলত বাঘের নখের সাথে তুলনা করে এরুপ নামকরণ করা হয়েছে।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;-----------

কার্ডওয়েল লিলি

ছবি
ফুলের নাম- কার্ডওয়েল লিলি  বৈজ্ঞানিক নাম- Proiphys amboinensis  কার্ডওয়েল লিলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার গাছ। পৃথিবীর বিভিন্ন উষ্ণ অঞ্চলে আকর্ষণীয় কন্দজ ফুল হিসেবে সুপরিচিত। এরা মূলত বৃষ্টিবহুল বন ও সাগরপাড়ের বাসিন্দা। ইংরেজিতে Brisbane Lily বা Northern Christmas Lily নামেও পরিচিত।  কার্ডওয়েল লিলি বহুবর্ষজীবী কন্দজ গাছ। বড় আকৃতির পাতাগুলো লম্বায় ২৫ সে.মি. এবং চওড়ায় ৩৫ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে, দেখতে অনেকটা কিডনি আকৃতির, কিনারা ওপরের দিকে মোড়ানো এবং সুস্পষ্ট শিরাযুক্ত। কাণ্ড ১৫ থেকে ৬০ সে.মি. পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। সাদা রঙের ফুলগুলো ফোটে গ্রীষ্মে, অন্তত ১৮টি ফুলের একটি বড় থোঁকা থাকে। প্রতিটি একক ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ছয়, হলদেটে পরাগকেশর অনেকটাই দৃশ্যমান। ফুল দীর্ঘস্থায়ী। সাধারণত শীতের আগেই রিক্ত মঞ্জরিদণ্ড নিজের দীনতা জানান দিতে শুরু করে। তারপর হিমেল বাতাসের স্পর্শে ধীরে ধীরে ধড়টা শুকিয়ে ওরা মাটির কম্বলে শীতঘুমে চলে যায়। ফুল দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সব ধরনের বাগানেই শোভা বৃদ্ধির জন্য রোপণ করা যেতে পারে। টবেও চাষযোগ্য। বাড়ির লনে বেশ মানানসই।  তথ্যসূত্র- http://...

রাজজুই

ছবি
ফুলের নাম- রাজজুঁই  বৈজ্ঞানিক নাম- Jasminum nitidum(Syn. Jasminum magnificum, Jasminum ilicifolium)  পরিবার- Oleaceae  অন্যান্য নাম- রাজ চামেলি(হিন্দি), ইংরেজিতে এঞ্জেলউইং জেসমিন, রয়েল জেসমিন, শাইনিং জেসমিন, স্টার জেসমিন, ওয়াইন্ডমিল জেসমিন উল্লেখযোগ্য।  আদিনিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের পাপুয়া নিউগিনি ও এর উপ-দ্বীপগুলোয়। রাজজুঁই চিরসবুজ বা আধাসবুজ লতা বা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পাতা উজ্জ্বল সবুজ, উপবৃত্তাকার। লতান গাছ খুব দ্রুত বাড়ে, প্রায় ২০-২৫ ফুট লম্বা হয়ে যায়। আর গুল্মজাতীয় রাজজুঁই গাছ ২-৪ ফুট লম্বা হয়। চমৎকার মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত শুভ্র সাদা রঙ্গা নয় পাপড়ির ফুল, বেগুনি বা হালকা রক্তবর্ণের কুঁড়ি। শেষ বসন্তের ফুল রাজজুঁই গাছে থাকে গ্রীষ্মকালজুড়ে। ফুল ফোটে রাতের বেলায়। একটি গাছ আছে বলধা গার্ডেনের সাইকি ভাগের জলপাই আর রাজঅশোকের সামনে। আর কোনো পার্কে এখনো দেখা মিলেনি।  তথ্যসূত্র- জুঁই নামের আরেক ফুল(লেখা- ফারুখ আহমেদ, দৈনিক সমকাল, ১৫ অক্টোবর ২০১৪)  ছবি-নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;------

রক্তরাগ

ছবি
ফুলের নাম- রক্তরাগ, স্কারলেট কর্ডিয়া  বৈজ্ঞানিক নাম- Cordia sebestena  পরিবার- Boraginaceae  অন্যান্য নাম- siricote/kopté (Mayan), Geiger Tree, scarlet cordia  আদি আবাস কিউবা ও পেরু, জন্মে বাংলাদেশসহ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতে। আঠার শতকে ওলন্দাজরা এ গাছ ভারতে নিয়ে আসে। গাছ ছোটখাটো, ৫ থেকে ৮ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, কখনো গুল্ম আকারের। পাতা একক, ১০ থেকে ১৮ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার। ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে প্রায় সারা বছর, তবে শীত থেকে বসন্তেই বেশি দেখা যায়। ফুল ৩ থেকে ৫ সেমি লম্বা, পাপড়ি সংখ্যা ৬। ফল ডিম্বাকার, শাঁসাল, প্রায় ৪ সেমি লম্বা, বৃতিযুক্ত। বীজ আঠাল শাঁসে জড়ানো। শুষ্ক অঞ্চলে ভালো বাড়ে। বীজ, কলম ও দাবাকলমে চাষ। যতদূর জানা যায় একজন অভিজ্ঞ নিসর্গীর হাতেই ঢাকায় প্রথম বীজ থেকে চারা তৈরি করে দুটি গাছ ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ঢাকা ক্লাব লাগোয়া টেনিস কমপ্লেক্স চত্বরে লাগানো হয়। তাও অনেক বছর আগের কথা। সেখানেই তিনটি গাছ আছে। আরেকটি গাছ অপেক্ষাকৃত ছোট, অনেক পরে লাগানো। ড. নওয়াজেশ আহমদ 'মহাবনস্পতির পদাবলী' গ্রন্থে 'অনাপ্য বৃক্ষ-সন্ধান' শিরোনামের লেখায় ...

নীল গোলাপ

ছবি
ফুলের নাম- নীল গোলাপ  বৈজ্ঞানিক নাম- নেই  গণ- Rosa  পরিবার- Rosaceae  গল্প-সাহিত্যে নীল গোলাপের জন্ম, বাস্তবে কোনো গোলাপ গাছেই নীল গোলাপ ফোঁটে না। কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায় নীল গোলাপ হচ্ছে “symbol of love and prosperity to those who seek it”। কিন্তু বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্বই নেই তাকে নিয়ে এতো মাতামাতি!!! তাই বাধ্য হয়ে ২০০৪ সাল থেকে বৈজ্ঞানিকরা খুজতে থাকলেন নীল গোলাপ সৃষ্টির উপায়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ফুলে নীল রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে চলতে থাকে গবেষণা। নতুন উদ্ভাবিত ফুলের নাম দেন ব্লু মুন। কিন্তু কোথায় সেই বহু প্রত্যাশিত নীল গোলাপ!? এই ফুলের রঙ যে লাইলাক(লালচে বেগুনি)!! চলতে থাকে গবেষণা। ২০০৮ সালে তারা আবার ঘোষণা করলেন এখন থেকে গাছেই ফুঁটবে নীল গোলাপ। জাপানি কোম্পানি সানতোরি লিমিটেড এই গবেষণার মূল উদ্যোক্তা, তাই এই নীল গোলাপের স্বত্ত্ব তাদেরই। তাদের হিসেবে প্রতিটি নীল গোলাপের দাম পড়বে ২০০০-৩০০০ ইয়েন বা ২২-৩৫ ইউএস ডলার। তারপরেও ফুলের রঙ নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট হবেন কিনা তা প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ এতো দামী ফুলটাও কিন্তু খাটি নীল রঙের নয়। ত...

কালো গোলাপ

ছবি
ফুলের নাম- কালো গোলাপ  বৈজ্ঞানিক নাম- নেই  গণ- Rosa  পরিবার- Rosaceae  রূপকথার রাজ্যে রাজা, রানী, দৈত্য, দানব, উড়ন্ত পক্সখীরাজ ঘোড়া আরও কত কি-ই না আছে! রূপকথার পৃথিবী শুধু শিশু নয় ছোট-বড় সবার কাছেই ভীষণ প্রিয়। সেই রূপকথার রাজ্যের আরেক রাজার নাম 'ব্লাক রোজ'।  ব্লাক রোজ বা কালো গোলাপ কিংবদন্তি হয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে। আজও সে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। একটা সময় কালো গোলাপ নিয়ে মাতামাতির অন্ত ছিল না। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ফ্লাওয়ার্স ল্যাঙ্গুয়েজ সৃষ্টি হয়। এ সময় কালো গোলাপ মৃত্যু, ঘৃণা, বিদায় এবং ভয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, জীবনের লম্বা সময় অতিবাহিত করাকেও কালো গোলাপ দিয়ে বোঝানো হতো। তবে কালো গোলাপ যে শুধু খারাপ অর্থেই ব্যবহার হতো, তা নয়। খুব প্রিয় বন্ধুকে বা যুদ্ধে গমনরত সৈনিককেও কালো গোলাপ দেওয়া হতো আগের দিনে। কিন্তু সত্য হলো, যে কালো গোলাপ নিয়ে এত মাতামাতি, প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতিতে তার কোনো অস্তিত্ব আছে কি? সত্যিই নেই। অনেকটা 'মোল্লার গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই' অবস্থা আর কি। তাই কালো গোলাপকে রূপকথার গোলাপ বলাই বোধ হয় ভালো।  কালো গোলাপ...

সিলভারলিফ

ছবি
ফুলের বাংলা নাম নেই ইংরেজিতে- Texas Ranger, Texas Rain Sage, Cenizo,Texas Silverleaf, Ash-bush, Wild Lilac, Purple Sage, Senisa, Cenicilla, Palo Cenizo, Hierba del Cenizo. নামে ডাকা হয়।  বৈজ্ঞানিক নাম- Leucophyllum frutescens  পরিবার- Scrophulariaceae  বাগানের সৌন্দর্যবৃদ্ধিকারক গাছ। গরম ও খড়াসহিষ্ণু, তেমন যত্ন-আত্নি ছাড়াই বাঁচে। পাতাগুলো রুপালি আভাযুক্ত। গাছ ছেঁটে নিজের পছন্দমতো করে রাখা যায়। ফুল ছাড়া ঝোপালো গাছ দেখতে সুন্দর আর ঘন্টা বা ফানেলাকৃতির বেগুনি রঙের ফুল গাছের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।  এছাড়া Theona Checkerspot (Chlosyne theona) এবং Calleta Silkmoth (Eupackardia calleta) প্রজাপতির পছন্দের গাছ।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-‘-;-‘-;---------