কনকসুধা

ফুলের নাম- কনকসুধা 

বৈজ্ঞানিক নাম- Odontadenia macrantha 
পরিবার- Apocynaceae 

বলধা গার্ডেনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে গাছ সংগ্রহ করেছেন জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী। একটি ফুলগাছের জন্য ফরমায়েশ দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এটি জাহাজে চড়ে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু ভুলে জাহাজে চড়ে গাছটি চলে গেল অস্ট্রেলিয়ায়। শুনে মনটা খারাপ হয় নরেন্দ্র নারায়ণের। বহু পথ জাহাজ ভ্রমণ শেষে একদিন ফুলগাছটি আসে বলধায়। এই গাছটির বাংলা নাম কনকসুধা। এ নাম দিয়েছেন অমৃতলাল আচার্য। তিনি বলধা গার্ডেন তৈরির সময় এই বাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। 

কনকসুধা একটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। কনকসুধার আদিনিবাস নর্দান সাউথ আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকা। বাংলাদেশে কনকসুধা গাছ মাত্র দুটি। একটি শতবর্ষের পুরাতন। শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে আসা। যেটি আছে বলধার সাইকি ভাগে। অন্যটি বলধা গার্ডেনের বর্তমান মালী দুলালের হাতে চারা করা, যেটি রোপণ করা হয়েছে বলধার সিবিলি ভাগে। ঝাঁকালো কনকসুধার পাতার রং উজ্জ্বল সবুজ। ফুলের রং ফিকে হলুদ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে অনেকটা কলমির মতো দেখতে কনকসুধা ফুল ঝুলে থাকে থোকায় থোকায়। কনকসুধা ফুলের মধ্যে আশ্চর্য এক মাদকতা রয়েছে। ফুলের দিকে তাকালে কী এক ভালো লাগার আবেশ তৈরি হয়। একটা সময় ছিল গাছটিতে ঝেঁপে ফুল ফুটত। বয়সের ভারে গাছে এখন আর আগের মতো ঝেঁপে ফুল হয় না, তবে যা কিছু ফুল ধরে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা তা বেশির ভাগ ছিঁড়ে নিয়ে যান। 


মূল লেখা- ফারুখ আহমেদ (থোকায় থোকায় কনকসুধা, ০৭-০৮-২০১১) ছবি- নেট

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি