পিয়াল
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “নব শ্যামল শোভন রথে
এসো বকুল বিছানো পথে,
এসো বাজায়ে ব্যাকুল বেণু
মেখে পিয়াল ফুলের রেণু।“ অথবা
“ওই মালতীলতা দোলে
পিয়ালতরুর কোলে পুব-হাওয়াতে।“
গান-কবিতায় অথবা লোকমুখে পিয়ালের নাম শুনে নি, এমন প্রকৃতিপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পিয়াল ফুলকে নিয়ে আজকের পোস্ট।
বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারের প্রজাতি। বিশ্বজুড়ে Buchanania গণের প্রায় বিশ/কুড়িটি প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে ৬ টি প্রজাতি এই উপমহাদেশে পাওয়া যায়।
ফুলের নাম- পিয়াল
বৈজ্ঞানিক নাম- Buchanania lanzan(Synonyms: Buchanania latifolia, Chironjia sapida)
পরিবার- Anacardiaceae (Cashew family)
অন্যান্য নাম- চিরঞ্জী, চিঁবৌজী, ইংরেজিতে Chironji Tree, almondette, calumpong nut, Cheronjee, Cuddapah almond, Hamilton mombin প্রভৃতি।
পিয়াল গাছ ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। পাতা বেশ বড়, লম্বাটে-গোলাকার, ৮/১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডাল থেকে অসম সজ্জায় পাতা বের হয়। পাতায় ছোট বোঁটা আছে। শাখার আগায় বসন্তে ফুল হয়। ছোট ছোট ফুল। মার্চ মাসে ফল হয়। ফলের রঙ কালো। ছোট ছোট, আধ ইঞ্চির মতো মোটা, লম্বায় এক ইঞ্চির মতো। ফলের ভিতরে এক ইঞ্চির মতো বীজাধার থাকে। একটি বীজাধারে একটি বীজ, শাঁস বাদামের মতো। ছাল ও কাঠ ছাই বর্ণের বা ধূসর।
পিয়াল গাছ তেমন দেখা যায় না। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও পিয়াল গাছ নেই। তবে, হার্বসের দোকানে পিয়ালের বাদাম পাওয়া যায়। এই বাদাম সুস্বাদু এবং ঔষধিগুণসম্পন্ন। পিয়াল গাছের ছাল, পাতা, আঠা, ফল, বীজ, বীজের তেল বিভিন্ন ঔষধ ও সুগন্ধ দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র- গাছপালা তরুলতা
ছবি- নেট
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন