টুনা ফল, Prickly pears



ফুলের নাম- Prickly pear, Indian fig opuntia 
বৈজ্ঞানিক নাম- Opuntia ficus-indica 
পরিবার- Cactaceae 

অনেকদিন পর আজ স্যারের সাথে দেখা হলো। সালাম দিতেই স্যার খোঁজখবর নিয়ে হাতে থাকা ব্যাগ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো এর ভেতর কি আছে?”। “স্যার ব্যাগের ভেতর কি আছে বাহির থেকে কিভাবে বোঝা সম্ভব?” স্যারের কাছ থেকে জানার আগ্রহ নিয়ে জবাব দিলাম। অবশেষে স্যারই রহস্যভেদ করে বললেন এই ফলের কথা। নেট সার্চ করে দেখলাম এ তো বিশাল ব্যাপার!!! ক্যাকটাস জাতীয় গাছের ড্রাগন ফলের কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু এই ক্যাকটাসটা আমার কাছে একদম নতুন। তাই পুষ্পকথনের সবার সাথে শেয়ার করছি। 


এই গাছের আদিনিবাস মেক্সিকো। তবে এর সুস্বাদু ফলের জন্য মেক্সিকো, মাল্টা, স্পেন, সিসিলি, ইতালির দক্ষিণাঞ্চল, গ্রীস, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, লেবানন, সিরিয়া, মিশর, সোদি আরব, ইয়ামেন, ইসরায়েল, চিলি, ব্রাজিল, তুরস্ক, ইরিট্রিয়া, ইথিওপিয়া, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে চাষ করা হয়। এর কোনো বাংলা নাম না থাকলেও ফলের বেশ কিছু ইংরেজি নাম রয়েছে- টুনা, Indian fig opuntia, barbary fig, cactus pear,spineless cactus, prickly pear, সৌদি আরবে এই ফলকে বলা হয় “বারমুশি”। পাতাকে বলা হয় নোপাল। এই ক্যাকটাস গাছগুলো দেখতে আমাদের বাগানের ফণীমনসার মতো। পাতা কাঁটাযুক্ত, তবে পাতার বৃদ্ধি পূর্ণ হলে কাঁটা তেমন থাকে না। সাদা, হলুদ আর লাল- তিনটি রঙের ফুল ফোঁটে। ফুল শেষে ফল। ফলের রঙ হলুদ, লাল, লালচে-বেগুনি, হলুদাভ সাদা। ফলের ভিতর থাকে ছোট ছোট বীজ, যা সহজপাচ্য। ফল কাঁচা অথবা জ্যুস ছাড়াও নানান ধরণের মিষ্টি খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ফলে রয়েছে নানা ধরণের ফাইটোক্যামিকেল/অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

 পরিপূর্ণ পাতা প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়া হয়। ফলের পুষ্টিগুণ চিন্তা করে হয়ত একদিন আমাদের দেশেও চাষ হবে টুনা ফল। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি স্যার কে... 


ছবি- নেট

মন্তব্যসমূহ

  1. Great post! I am actually getting ready to across this information, is very helpful my friend. . ফুলের ছবি ডাউনলোড করুন ২০২২ সালের সেরা ....

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি