বকফুল

ফুলের নাম- বকফুল 
বৈজ্ঞানিক নাম- Sesbania grandiflora 
পরিবার- Fabaceae 
অন্যান্য নাম- Agati, Butterfly Tree, Corkwood tree, Gallito, Cresta de Gallo, Báculo, Hummingbird Tree 


আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরনো। প্রচলিত আরেকটি নাম বাসনা। প্রাচীন সাহিত্যেও তার উল্লেখ আছে। রাজনিঘন্টু ও ভারতচন্দ্রের কবিতায় বকফুলের প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। ভারতচন্দ্র লিখেছেন— ‘অশোক কিংশুক মধুটগর/ চম্পক পুন্নাগ নাগকেশর/ গন্ধরাজ যুতি ঝাটি মনোহর/ বাসক বক শেফালিকা।’

 ক্ষুদ্র আকৃতির পত্রমোচী গাছ। কাণ্ড সরল, উন্নত, ম্লান-বাদামি ও মসৃণ। যৌগিক পত্রটি পালকের মতো এবং আকর্ষণীয়, পত্রিকা আয়তাকৃতি, সজোড় ও গাঢ়-সবুজ। কাক্ষিক মঞ্জরি অনিয়ত এবং স্বল্প-পৌষ্পিক। কোমল কলিগুলো বাঁকানো। দেখতে অনেকটা পাখির ঠোঁটের মতোই, বৃতিযুক্ত, দ্বিধাবিভক্ত ও সবুজ। পুষ্পস্তবকে পরাগকেশর সংখ্যা দশ, দুই গুচ্ছে বিভক্ত। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। তিনটি রঙের ফুল- সাদা, রক্তলাল ও ঈষত্ গোলাপি। 

প্রথমোক্তটি সহজেই পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বাগানে, দ্বিতীয়টি রমনা পার্ক ও শেষেরটি মির্জাপুর ভারতেশ্বরী হোমস প্রাঙ্গণে। তাছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় সারা দেশেই এ গাছ চোখে পড়ে। 

বকফুলের তৈরি বড়া ভারি সুস্বাদু। ফল লম্বা, প্রায় গোল, বীজপূর্ণ এবং গ্রন্থিল। বীজ থেকে সহজেই চারা হয়। বৃদ্ধি দ্রুত, এক বছরেই গাছ ফুল ও ফলবতী হয়। গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য, বাকল ও শিকড় ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। আদি আবাস মালয়েশিয়া। বর্ণবৈচিত্র্য তৈরির জন্য তিন রঙের ফুলের পরিকল্পিত বীথি গড়ে তোলা যায়। 


মূললেখা- মোকারম হোসেন 
ছবি- নেট

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি