বৈচি


ফুলের নামঃ বৈঁচি 

বৈজ্ঞানিক নামঃ Flacourtia indica 
পরিবারঃ Salicaceae 
অন্যান্য নামঃ কাঁটাবহরী, বুঁজ, ডুংখইর, গাছটি নানা দেশে নানা নামে পরিচিত। মালয় ভাষায় কেরকুপ কেচিল, থাই ভাষায় তা-খোপ-পা এবং লাও ভাষায় গেন , এবং তাগালোগ ভাষায় বিতঙ্গল, বলং ও পাতুলান নামে পরিচিত। আফ্রিকার কয়েক জায়গায় একে কোকোউই এবং শ্রীলংকায় উগুরেসসা নামে ডাকা হয়। ফ্রেঞ্চ ভাষায় এর নাম প্রুনিয়ের দ্য মাদাগাস্কার এবং গ্রসে প্রুন দ্য কাফে। এর জার্মান নাম এচে ফ্লাকুর্তিয়ে, স্প্যানিশ নাম সিরুয়েলা গভের্নাদোরা এবং বার্মিজ নাম না-ইউ-ওয়ানি। 

সেই বৈঁচির মালা... শরৎবাবুকে ছোট্টবেলায় রাজলক্ষী বানিয়ে এনে দিত। বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় বৈঁচি ফুল ও এর গাছ । বৈঁচি ফুল ক্ষুদ্র আকারের, হালকা পীত রঙের। সাধারণত শীতের শেষে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বঁইচিগাছে ফুল ধরে। পাঁচ পাপড়িযুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ফুল। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ফোটে। জ্যৈষ্ঠ মাস (এপ্রিল-জুন) থেকে ফল পাকতে শুরু করে। কাঁচা ফল গোলাকার সবুজ। পাকলে গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। এর স্ব্বাদ টক-মিষ্টি। বাংলাদেশের গ্রামের শিশুরা পাকা ফলের মালা বানিয়ে গলায় পরে থাকতে পছন্দ করে এবং মালা থেকে ফল ছিঁড়ে খায়। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। দাঁতের গোড়া ফোলা, জন্ডিস ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় বৈঁচি ব্যবহৃত হয়।

ছবি - নেট 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি