পোস্টগুলি

ছাতিম

ছবি
ফুলের নামঃ ছাতিম  বৈজ্ঞানিক নামঃ Alstonia scholaris  পরিবারঃ Apocynaceae  শরৎ-হেমন্ত কালে ছোট ছোট সবুজাভ থোকা থোকা সুগন্ধী নিয়ে ছাতিম ফুল আসে প্রকৃতিতে। চির সবুজ এই বৃক্ষ বাংলাদেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছটি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র জন্মে। আর্দ্র, কর্দমাক্ত, জলসিক্ত স্থানে ছাতিম বেশী জন্মে। ছাতিম মূলাবর্তে সাতটি পাতা এক সঙ্গে থাকে বলে সংস্কৃতে এবং হিন্দিতে একে 'সপ্তপর্ণ' বা 'সপ্তপর্ণা' নামে ডাকা হয়।  তথ্যসূত্র ও ছবি- নেট

চামেলি

ছবি
ফুলের নাম- চামেলি, জাতি  বৈজ্ঞানিক নাম- Jasminum grandiflorum  অন্যান্য নাম- Spanish jasmine, Royal jasmine, Catalonian jasmine এ কটি অদৃশ্য জনপ্রিয় ফুল। খুব কম লোকই এর দেখা পেয়েছে। নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া চামেলি খুঁজে খুঁজে হতাশ হয়েছিলেন। দেখা পেয়ে তাই লিখলেন, ‘চামেলির কাছে পরাজয়ে লজ্জা নেই’। রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি চামেলি গাছ রয়েছে। একটি রমনার কালী মন্দিরে। অন্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান উদ্যানে, বলধা বাগানে বহু আগে একটি চামেলি গাছ ছিল। সে গাছটি এখন আর নেই। তবে সেখানে নতুন একটি চামেলি গাছ লাগানো হয়েছে, সাইকিভাগে, কনকসুধার ঠিক পাশে। চামেলী হাউসেও (বর্তমানে সিরডাপ মিলনায়তন) একসময় চামেলি গাছ ছিল, এখন আর নেই। বৃক্ষমেলা আর নার্সারীতে খোঁজ করে চারা সংগ্রহ করতে পারেন।  হালকা গড়নের চিরসবুজ লতা। উপ-উষ্ণমন্ডলীয় হিমালয়ের প্রজাতি। বিজোড়পক্ষ যৌগপত্রে ৭-১১ টি পত্রিকা, শীর্ষপত্রিকা বৃহত্তম। গ্রীষ্মে ফুল, ডালের আগায় মঞ্জুরীতে কয়েকটি, সাদা ও সুগন্ধি। আকারে জুইয়ের চেয়ে বড়। দলনল ২ সেমি লম্বা, পাপড়ি ৫। ছেটে ঝোপ বানানো যায়।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ও দৈনি...

অরনামেন্টাল ওকরা

ছবি
ফুলের নাম- Ornamental okra  বৈজ্ঞানিক নাম- Abelmoschus moschatus subsp. tuberosus  পরিবার- Malvaceae (Mallow family)  অন্যান্য নাম- Pink Swamp Mallow, Creeping Pink Swamp Hibiscus, Musk Mallow, Native Rosella  বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার প্রজাতি। বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বাংলা নাম নেই। এই গাছটি লতাকশ্তুরী( Abelmoschus moschatus) গাছের উপ-প্রজাতি(Sub-species) এবং আমাদের অতিপরিচিত ঢেড়স গাছের আত্মীয়। নরম রোমশকান্ডযুক্ত এই গাছ প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতা সাধারণত ৪-১০*৪-৮.৫ সেমি, অমসৃণ, রোমযুক্ত, ৩-৫টি খন্ডে বিভক্ত, পাতার কিনার ক্রকচ।  অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফুল ফোটে, তবে বৃষ্টিপাতের সাথে গাছের সম্পর্ক আছে। গাছের মূল টিউবার জাতীয়, শুষ্ক মৌসুমে গাছ শুকিয়ে যায় এবং প্রথম বৃষ্টিপাতে টিউবার থেকে বেরিয়ে আসে নতুন পাতা। ফুল দেখেই বোঝা যায় যে এটি জবা ফুলের ঘনিষ্ট প্রজাতি। ফুলের রঙ ওয়াটারমেলন পিঙ্ক, সাদা বা ক্রিম কালার হতে দেখা যায়। ফুল থেকে যে ফল হয় তার ভেতর থাকে কালো রঙের বীজ। এই বীজ থেকে জন্ম নেয় নতুন ...

রাসেলিয়া

ছবি
ফুলের নাম- রাসেলিয়া, Firecracker plant, Coral plant  বৈজ্ঞানিক নাম- Russelia equisetiformis(Syn. Russelia juncea (Zucc.))  পরিবার- Scrophulariaceae  অন্যান্য নাম- Coral fountain, Coralblow, Fountain plant  আদিনিবাস মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা। ডাচ বিজ্ঞানী ব্যারন নিকোলাস ভন জ্যাকুইন এই গণের নাম রাসেলিয়া রাখেন স্কটিস প্রকৃতিবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার রাসেল এর সম্মানে। বহুশাখায় বিভক্ত ঝোপালো গাছ, সবুজ ডালপালা, কিছু গড়ান কিছু খাড়া। পাতা ১.৩ সেমি লম্বা, সংখ্যায় কম, অধিকাংশই পর্বসন্ধিতে শল্কে রুপান্তরিত। লম্বা ছড়ায় গাঢ় লাল রঙের ফুল ফোটে, সাদা ফুলেরও গাছ আছে। ফুল নলাকার, ২সেমি লম্বা, ৫টি পাপড়ি। কলম ও গোড়া ভাগ করে লাগানো হয়।  তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া ও ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট

সোনাঝুরিলতা

ছবি
ফুলের নাম- সোনাঝুরিলতা  বৈজ্ঞানিক নাম-Pyrostegia venusta  পরিবার-Bignoniaceae  অন্যান্য নাম- Flame Vine, Golden Shower, Orange Trumpet Creeper  ব্রাজিলের প্রজাতি, ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। নমনীয়, পত্রমোচী, ঝুলন্ত শাখাবহুল লম্বা লতা। শীত ও বসন্তে ফুল ফোটে। নিষ্পত্র লতার ঝাড় তখন সোনালী ফুলে ভরে যায়। ঢাকায় হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে। রমনা পার্ক, মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণ ও বলধা গার্ডেনে কয়েকটি গাছ আছে। তবে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহেও দু-একটি গাছ দেখা যায়।  ফুলটির উজ্জ্বল লালচে কমলা রঙ অনেক দূর থেকেই আমাদের নজর কাড়ে। প্রস্ফুটনকাল শীত-বসন্ত হলেও আমাদের দেশে শীতের প্রারম্ভেই ফুল ফোটে এবং এ শোভা দীর্ঘস্থায়ী। বসন্তে ফুটলেও তা বিক্ষিপ্ত। গাছ একটানা প্রায় ৭৫ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। যৌগপত্র ১-পক্ষল, জোড়পক্ষ, ওপর মসৃণ, ৪ থেকে ৭ সেমি লম্বা, শীর্ষ পত্রিকা শাখায়িত এবং আকষীতে রূপান্তরিত। ঝুলন্ত মঞ্জরির ফুলগুলো নলাকার, প্রায় ৫ সেমি লম্বা, কিছুটা বাঁকা, মুখ বিভক্ত, গন্ধ নেই। ফুল ফোটা শেষ হলে শুকনো ডালপালা ও...