কেওমূল


ফুলের নাম- কেও বা কেওমূল 
বৈজ্ঞানিক নাম- Cheilocostus speciosus বা Costus speciosus 
পরিবার- Costaceae 
অন্যান্য নাম- বাংলায় একে কেও, কেওমূল, কেউ, কেমুক, বন্দুই, কুস্তা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। হিন্দিতে 'কেওকন্দ', সিংহলিতে 'থেবু', গুজরাটিতে 'পাকারমূলা', মারাঠিতে 'পুশকারমূলা', অসমীয়াতে 'জম লাখুটি', তামিল ভাষায় 'কোস্টাম', কানাড়া ভাষায় 'কোস্টা' এবং তেলেগু ভাষায় 'কোস্টামু' নামে একে ডাকা হয়। ইংরেজিতে এটি 'Crêpe ginger', 'Malay ginger' এবং 'White costus' নামে পরিচিত। 

Costus গণভুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে এটিই সম্ভবতঃ সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলের উদ্ভিদ। বাংলাদেশ, ভারত ও চীন থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া ও কুইন্সল্যান্ড পর্যন্ত এর আদি বিস্তৃতি। পরে এটি মরিশাস, ফিজি, হাওয়াই, কোস্টা রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এটি আদা গাছের সমগোত্রীয়। রাইজোম বা কন্দ থেকে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে; এছাড়া পাখির মাধ্যমেও এর বীজের বিস্তারণ ঘটে। 

এই গাছের ফল পাখির খাদ্য। ভারতে এটি ভেষজ উদ্ভিদরূপে চাষ করা হয়। অনেক দেশে এটি শৌখিন ফুল হিসেবে লাগানো হয়, আবার অনেক দেশে এটি আগ্রাসী উদ্ভিদরূপে বদনাম কুড়িয়েছে। পথের পাশে নিচু জমিতে, খাল ও নদীর ধারে, স্যাঁতস্যাঁতে জঙ্গলে এটি ভাল জন্মে। কেও গাছে বর্ষার পরে সেপ্টেম্বরে ফুল আসে, ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকে। লাল পুষ্পমঞ্জরীর উপর সাদা ফুল হয়। 

তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া 

ছবি- নেট 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি