পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছাতিম

ছবি
ফুলের নামঃ ছাতিম  বৈজ্ঞানিক নামঃ Alstonia scholaris  পরিবারঃ Apocynaceae  শরৎ-হেমন্ত কালে ছোট ছোট সবুজাভ থোকা থোকা সুগন্ধী নিয়ে ছাতিম ফুল আসে প্রকৃতিতে। চির সবুজ এই বৃক্ষ বাংলাদেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছটি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র জন্মে। আর্দ্র, কর্দমাক্ত, জলসিক্ত স্থানে ছাতিম বেশী জন্মে। ছাতিম মূলাবর্তে সাতটি পাতা এক সঙ্গে থাকে বলে সংস্কৃতে এবং হিন্দিতে একে 'সপ্তপর্ণ' বা 'সপ্তপর্ণা' নামে ডাকা হয়।  তথ্যসূত্র ও ছবি- নেট

চামেলি

ছবি
ফুলের নাম- চামেলি, জাতি  বৈজ্ঞানিক নাম- Jasminum grandiflorum  অন্যান্য নাম- Spanish jasmine, Royal jasmine, Catalonian jasmine এ কটি অদৃশ্য জনপ্রিয় ফুল। খুব কম লোকই এর দেখা পেয়েছে। নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া চামেলি খুঁজে খুঁজে হতাশ হয়েছিলেন। দেখা পেয়ে তাই লিখলেন, ‘চামেলির কাছে পরাজয়ে লজ্জা নেই’। রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি চামেলি গাছ রয়েছে। একটি রমনার কালী মন্দিরে। অন্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান উদ্যানে, বলধা বাগানে বহু আগে একটি চামেলি গাছ ছিল। সে গাছটি এখন আর নেই। তবে সেখানে নতুন একটি চামেলি গাছ লাগানো হয়েছে, সাইকিভাগে, কনকসুধার ঠিক পাশে। চামেলী হাউসেও (বর্তমানে সিরডাপ মিলনায়তন) একসময় চামেলি গাছ ছিল, এখন আর নেই। বৃক্ষমেলা আর নার্সারীতে খোঁজ করে চারা সংগ্রহ করতে পারেন।  হালকা গড়নের চিরসবুজ লতা। উপ-উষ্ণমন্ডলীয় হিমালয়ের প্রজাতি। বিজোড়পক্ষ যৌগপত্রে ৭-১১ টি পত্রিকা, শীর্ষপত্রিকা বৃহত্তম। গ্রীষ্মে ফুল, ডালের আগায় মঞ্জুরীতে কয়েকটি, সাদা ও সুগন্ধি। আকারে জুইয়ের চেয়ে বড়। দলনল ২ সেমি লম্বা, পাপড়ি ৫। ছেটে ঝোপ বানানো যায়।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ও দৈনি...

অরনামেন্টাল ওকরা

ছবি
ফুলের নাম- Ornamental okra  বৈজ্ঞানিক নাম- Abelmoschus moschatus subsp. tuberosus  পরিবার- Malvaceae (Mallow family)  অন্যান্য নাম- Pink Swamp Mallow, Creeping Pink Swamp Hibiscus, Musk Mallow, Native Rosella  বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার প্রজাতি। বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বাংলা নাম নেই। এই গাছটি লতাকশ্তুরী( Abelmoschus moschatus) গাছের উপ-প্রজাতি(Sub-species) এবং আমাদের অতিপরিচিত ঢেড়স গাছের আত্মীয়। নরম রোমশকান্ডযুক্ত এই গাছ প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতা সাধারণত ৪-১০*৪-৮.৫ সেমি, অমসৃণ, রোমযুক্ত, ৩-৫টি খন্ডে বিভক্ত, পাতার কিনার ক্রকচ।  অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফুল ফোটে, তবে বৃষ্টিপাতের সাথে গাছের সম্পর্ক আছে। গাছের মূল টিউবার জাতীয়, শুষ্ক মৌসুমে গাছ শুকিয়ে যায় এবং প্রথম বৃষ্টিপাতে টিউবার থেকে বেরিয়ে আসে নতুন পাতা। ফুল দেখেই বোঝা যায় যে এটি জবা ফুলের ঘনিষ্ট প্রজাতি। ফুলের রঙ ওয়াটারমেলন পিঙ্ক, সাদা বা ক্রিম কালার হতে দেখা যায়। ফুল থেকে যে ফল হয় তার ভেতর থাকে কালো রঙের বীজ। এই বীজ থেকে জন্ম নেয় নতুন ...

রাসেলিয়া

ছবি
ফুলের নাম- রাসেলিয়া, Firecracker plant, Coral plant  বৈজ্ঞানিক নাম- Russelia equisetiformis(Syn. Russelia juncea (Zucc.))  পরিবার- Scrophulariaceae  অন্যান্য নাম- Coral fountain, Coralblow, Fountain plant  আদিনিবাস মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা। ডাচ বিজ্ঞানী ব্যারন নিকোলাস ভন জ্যাকুইন এই গণের নাম রাসেলিয়া রাখেন স্কটিস প্রকৃতিবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার রাসেল এর সম্মানে। বহুশাখায় বিভক্ত ঝোপালো গাছ, সবুজ ডালপালা, কিছু গড়ান কিছু খাড়া। পাতা ১.৩ সেমি লম্বা, সংখ্যায় কম, অধিকাংশই পর্বসন্ধিতে শল্কে রুপান্তরিত। লম্বা ছড়ায় গাঢ় লাল রঙের ফুল ফোটে, সাদা ফুলেরও গাছ আছে। ফুল নলাকার, ২সেমি লম্বা, ৫টি পাপড়ি। কলম ও গোড়া ভাগ করে লাগানো হয়।  তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া ও ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট

সোনাঝুরিলতা

ছবি
ফুলের নাম- সোনাঝুরিলতা  বৈজ্ঞানিক নাম-Pyrostegia venusta  পরিবার-Bignoniaceae  অন্যান্য নাম- Flame Vine, Golden Shower, Orange Trumpet Creeper  ব্রাজিলের প্রজাতি, ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। নমনীয়, পত্রমোচী, ঝুলন্ত শাখাবহুল লম্বা লতা। শীত ও বসন্তে ফুল ফোটে। নিষ্পত্র লতার ঝাড় তখন সোনালী ফুলে ভরে যায়। ঢাকায় হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে। রমনা পার্ক, মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণ ও বলধা গার্ডেনে কয়েকটি গাছ আছে। তবে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহেও দু-একটি গাছ দেখা যায়।  ফুলটির উজ্জ্বল লালচে কমলা রঙ অনেক দূর থেকেই আমাদের নজর কাড়ে। প্রস্ফুটনকাল শীত-বসন্ত হলেও আমাদের দেশে শীতের প্রারম্ভেই ফুল ফোটে এবং এ শোভা দীর্ঘস্থায়ী। বসন্তে ফুটলেও তা বিক্ষিপ্ত। গাছ একটানা প্রায় ৭৫ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। যৌগপত্র ১-পক্ষল, জোড়পক্ষ, ওপর মসৃণ, ৪ থেকে ৭ সেমি লম্বা, শীর্ষ পত্রিকা শাখায়িত এবং আকষীতে রূপান্তরিত। ঝুলন্ত মঞ্জরির ফুলগুলো নলাকার, প্রায় ৫ সেমি লম্বা, কিছুটা বাঁকা, মুখ বিভক্ত, গন্ধ নেই। ফুল ফোটা শেষ হলে শুকনো ডালপালা ও...

রকেট লার্কস্পার

ছবি
ফুলের নাম- রকেট লার্কস্পার, Delphinium  বৈজ্ঞানিক নাম- Consolida ajacis(syn. Consolida ambigua, Delphinium ajacis, Delphinium ambiguum) অন্যান্য নাম- doubtful knight's spur, rocket larkspur  নীল রঙা মনোরম ফুল। গাছের উচ্চতা ৫০ - ১০০ সেঃ মিঃ। এটি বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। কাণ্ড সোজা, ফাঁপা। শাখার শেষ প্রান্ত থেকে উদ্ভূত লতার অগ্রভাগে ফুল ফোটে। পাঁচটি পাঁপড়ি সুবিন্যস্ত। পাঁপড়ির ঊর্ধাংশে সাদা ছোপ আছে। 

লতাকস্তুরী

ছবি
ফুলের নাম- লতাকস্তুরী, মুশকদানা, কালো কস্তুরী  বৈজ্ঞানিক নাম- Abelmoschus moschatus(syn. Hibiscus abelmoschus L.)  পরিবার- Malvaceae  অন্যান্য নাম- Abelmosk, Galu Gasturi, Muskdana, Musk mallow, Musk okra, Ornamental okra, Rose mallow, Tropical jewel hibiscus, Yorka okra.  লতাকস্তুরী পাক-ভারত উপমহাদেশের সুগন্ধিযুক্ত ঔষধি গাছের নাম। কস্তুরী/মৃগনাভীর বিকল্প হিসেবে লতাকস্তুরীর বীজ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ঢেড়স/Abelmoschus গণভুক্ত হওয়ায় এর ফল সবজি হিসেবেও খাওয়া হয়। ছবি- নেট

মরিচা ফুল

ছবি
ফুলের নাম- মরিচা ফুল  বৈজ্ঞানিক নাম- Asclepias curassavica  পরিবার- Asclepiadaceae  অন্যান্য নাম- কাকটুরী, বনকার্পাস, Blood flower, Mexican Butterfly Weed  মরিচা বাংলাদেশের বুনো ফুল। চিরসবুজ খাড়া কান্ডের বহুবর্ষজীবী ছোট গুল্মের গাছ। সাধারণত ১ মিটার পর্যন্ত উচু হতে পারে। গাছের গোড়া থেকেই প্রচুর ডালপালা জন্মায়। পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত দেড় সেমি লম্বা, পত্রফলক ১০-১২ সেমি, সুস্পষ্টভাবে বল্লমাকার,দুদিকে ক্রমান্বয়ে সরু, পাতা ঝিল্লিময় এবং মসৃণ। পাতা বিপ্রতিপ ও কাঁচা সবুজ রঙের। বিক্ষিপ্ত পুষ্পমঞ্জুরীতে ৮ থেকে ১০ টি ফুল থাকে। মঞ্জুরীদন্ড প্রায় সাত সেমি উঁচু। পৃথিবীর বিভিন্ন উষ্ণমন্ডলীয় দেশে প্রজাপতির খাবার কিংবা বাগান অলংকরণের জন্য এই গাছ লাগানো হয়। গাছের মূল এবং পাতার রস ঔষধি গুণসম্পন্ন। ছবি- নেট

স্ট্রোফ্যানথাস

ছবি
ফুলের নাম- স্ট্রোফ্যানথাস, Climbing Oleander, Rose Allamanda  বৈজ্ঞানিক নাম- Strophanthus gratus  পরিবার- Apocynaceae  পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ অঞ্চলে এর আদি বাস (সিয়েরা লিওন)।আরোহী গুল্ম ১০-১৫ ফুট উঁচু হতে পারে। পাতা সরল ও বিপরীত, ডিম্বাকার ও আয়ত। পুষ্পবিন্যাস ডালের আগায়। একসঙ্গে বেশ কিছু ফুলের গুচ্ছ। হাল্কা গোলাপি বেগুনি ফুল বেশ আকর্ষণীয় ও সুগন্ধি। অনেকটা ঘণ্টাকৃতি। পাপড়ি পাঁচটা। ফল ফলিকুল ও লম্বাকৃত। বীজ খয়েরি ভেতরে সাদা শাঁস। এর বীজে আছে রাসায়নিক Oubain। এই পদার্থ (স্বল্প পরিমাণ) হূদরোগে উদ্দীপক। তবে ভীষণ বিষাক্ত। তাই ভেষজ ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে শোধন বা পরিশুদ্ধ করে এর ব্যবহার চলতে পারে।  ছবি- নেট

পরশপিপুল

ছবি
পরশপিপুল (Thespesia populnea Syn: Hibiscus populnea) মূলত উপকূলীয় অঞ্চলের বৃক্ষ। সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। পৃথিবীর প্রায় সব উষ্ণ অঞ্চলেই সহজলভ্য। ধারণা করা হয় যে এরা পৃথিবীর প্রাচীন বৃক্ষরাজির অন্যতম প্রতিনিধি। সারা বিশ্বে Portia বৃক্ষ নামে বেশি পরিচিত। প্রচলিত অন্যান্য নামের মধ্যে Indian Tulip Tree, Pacific Rosewood, Seaside Mahoe ইত্যাদি অন্যতম। বাসি এবং সতেজ ফুলের রং ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় খুব সহজেই নজরকাড়ে। পাতার গড়ন, ডালপালার বিন্যাস এবং অবারিত প্রস্ফুটন এ গাছকে আকর্ষণীয় বৃক্ষের মর্যাদা দিয়েছে। তবে উপকূল থেকে দূরের গাছগুলোর ফুল ও পাতার গড়নে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। ঢাকায় খুব একটা চোখে পড়ে না। জানামতে, রমনা উদ্যানের অরুণোদয় ফটক পেরিয়ে সোজা এক শ গজ সামনে গেলে পাওয়া যাবে একটি গাছ। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর লাগোয়া লেকের পাড়েও আছে একটি। সেগুনবাগিচায় (গণপূর্ত ভবনের পাশে) স্থাপত্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে স্থপতি আলপনা চাকমার লাগানো নবীন গাছটিতেও ফুল ফুটতে শুরু করেছে। কোটির অধিক মানুষের এই শহরে মাত্র এ কয়েকটি গাছ!  পরশপিপুল মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ, ৭ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে...

ব্লু ডেজ/নীল ঝলক

ছবি
ফুলের নাম- Blue Daze, Hawaiian Blue Eyes  বৈজ্ঞানিক নাম-Evolvulus glomeratus  পরিবার-Convolvulaceae  ব্রাজিল, প্যারাগুয়ের প্রজাতি। আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে দারুনভাবে মানিয়ে নিয়েছে। বাড়তি যত্ন ছাড়া, শুধু একবেলা গাছে পানি দিলেই প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুলে ভরিয়ে রাখবে আপনার আঙ্গিনা। ছবি- নেট

শোনা

ছবি
ফুলের নাম- শোনা, শোনাক, কানাইডিঙ্গা  বৈজ্ঞানিক নাম- Oroxylum indicum  পরিবার- Bignoniaceae  অন্যান্য নাম- শুকনাশ,কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ, Broken bones plant, Indian calosanthes, Indian Trumpet, Indian trumpet flower, midnight horror, oroxylum, tree of Damocles ইত্যাদি নামেও পরিচিত।  Bignoniaceae গোত্রের Oroxylum গণের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের উপমহাদেশের গাছ তবে সহজে এর দেখা মিলে না। ঢাকা শহরের কোনো কোনো বাড়ির আঙ্গিনায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর পিছনে একটি গাছ আছে। গাছের উচ্চতা ২০-৩০ ফুট। ফুলের দেখা যদি কেউ পেয়ে যান শখ করে বাসায় রাতে রাখার মতো ভুল করবেন না যেন। ফুলের আরেক নাম- Midnight horror. রাতে বাদুড়ের মাধ্যমে ফুলের পরাগায়ন ঘটে, পরাগায়নের সময় ফুল থেকে বাঁজে গন্ধ বেরোয়। তবে গাছটির বীজ ও মূলের ছাল ঔষধিগুণসম্পন্ন। আমাশয় ও পিত্তরোগে উপকারী। ছাল বলকারক ও পরিপাক শক্তি বৃদ্ধিকারক।  ছবি- নেট 

ডেজার্ট ক্যাসিয়া

ছবি
ফুলের নাম- Desert cassia  বৈজ্ঞানিক নাম- Senna polyphylla(Synonym:Cassia polyphylla)  পরিবার- Caesalpiniaceae  Puerto Rico, ভার্জিন আইল্যান্ড, বাহামার প্রজাতি। হাতিরঝিলের সৌন্দর্যবর্ধণে লাগানো হয়েছে। ছোট্ট গাছ ঝরণার মতো চারিদিকে ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়ানো থাকে। সারাবছরই কমবেশি ফুল থাকে। হলুদ রঙের ফুল দেখতে অন্যান্য ক্যাসিয়ার মতো, ডালের চারপাশে বৃত্তাকারে ফুল ফুটে থাকে। গাছ ৬-৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছগুলো খড়া সহনশীল।  ছবি- নেট

হিমঝুরি

ছবি
ফুলের নাম- হিমঝুরি  বৈজ্ঞানিক নাম- Millingtonia hortensis  মিয়ানমারের নিজস্ব এই বৃক্ষটি আমাদের দেশে এসেছে প্রায় ২০০ বছর আগে। সুদীর্ঘ সময় ধরে আমাদের জল-হাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়ায় এখন দেশি গাছ হিসেবেই পরিচিত। একসময় এর মোটা বাকল থেকে নিম্নমানের বোতলের ছিপি বানানো হতো বলেই সম্ভবত কর্কগাছ নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশে এই গাছের নাম ‘কর্কগাছ’, রবীন্দ্রনাথ নামকরণ করেছেন ‘হিমঝুরি’। হিন্দি নাম ‘আকাশনিম’।  হিমঝুরি সুউচ্চ চিরসবুজ বৃক্ষ। খাড়া ডালপালায় নোয়ানো আগা, ছোটখাটো ডালের মতো সরু পত্রিকাবহুল পক্ষাকার যৌগপত্র। ফুল মধুগন্ধী, ফোটে রাতে, ভোরের আগেই ঝরে পড়ে, শাখান্তের বড়সড় যৌগিক মঞ্জরিতে, ছাড়াছাড়া ভাবে। ফুলগুলো সাদা ও নলাকার। নলমুখে বসানো থাকে পাঁচটি খুদে পাপড়ির একটি তারা। ফাঁকে ফাঁকে আছে পাঁচটি পরাগধানী, যেন সযত্নে বসানো রত্নপাথর, সাদা বা হলুদ; গর্ভকেশরযুক্ত। ফলগুলো সরু, লম্বা, আগা ও গোড়া ছুঁচালো, সরু সরু পক্ষল বীজে ভরাট, এক ফুট বা ততোধিক দীর্ঘ। বীজগুলো ঈষৎ স্বচ্ছ পাখনাঘেরা এবং সে কারণেই উড়ুক্কু ও দূরগামী। এই গাছ ছায়াঘন নয় এবং শিকড় অগভীর হওয়ায় ঝড়ে উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তা...

বরুন

ছবি
ফুলের নাম- বরুণ  বৈজ্ঞানিক নাম- Crateva religiosa  পরিবার- Capparaceae  অন্যান্য নাম- প্বৈন্যা, শ্বেতপুষ্প, কুমারক, সাধুবৃক্ষ, শ্বেতদ্রুম, মহাকপিথা, মারুতাপহ, Spider Tree, Temple Plant, Garlic Pear প্রচলিত ভাষায় বৈন্যা।  সাধারণত একটু নিচু জায়গায় জন্মে বা বলা যেতে পারে জলাভূমিপ্রিয় একটি গাছ হলো বরুণ । বসন্তকালে সাদা ও হালকা হলুদ ফুলে গাছ ভর্তি থাকে । পাতা বড় একটা দেখা যায়না তখন। দূর থেকে দেখতে অনেকটা আমেরিকার Dog wood-এর মত । ফুলের সে রকম কোন গন্ধ নেই। বসন্তকালে পুষ্পাবৃত গাছ সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে থাকে। ভাটি অঞ্চলে ধানকাটার সময় টেপী বোরোর গরম গরম ভাতের সঙ্গে বরুণের কচি ডগা ভর্তা-ভাজি করে গৃহস্থ নারীরা কামলাদের খেতে দেন। চৈত্রসংক্রান্তির দিনে হাওরের নারীরা সংগ্রহ করেন বরুণ ফুল। আসছে বছরটি যাতে পরিবার ও গ্রামসমাজের জন্য মঙ্গলময় হয়, সে জন্য বরুণের ফুল গ্রামময় গেঁথে দেওয়া হয় গোবরের দলায়। হাওরাঞ্চলে এ পর্ব আড়িবিষুসংক্রান্তি নামে পরিচিত।  অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভেষজ গাছ হিসেবে পরিচিত। অর্থব বেদে এর কথা উল্লেখ আছে। চরক ও সুশ্রুতে এর গুনগান করে...

কেওমূল

ছবি
ফুলের নাম- কেও বা কেওমূল  বৈজ্ঞানিক নাম- Cheilocostus speciosus বা Costus speciosus  পরিবার- Costaceae  অন্যান্য নাম- বাংলায় একে কেও, কেওমূল, কেউ, কেমুক, বন্দুই, কুস্তা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। হিন্দিতে 'কেওকন্দ', সিংহলিতে 'থেবু', গুজরাটিতে 'পাকারমূলা', মারাঠিতে 'পুশকারমূলা', অসমীয়াতে 'জম লাখুটি', তামিল ভাষায় 'কোস্টাম', কানাড়া ভাষায় 'কোস্টা' এবং তেলেগু ভাষায় 'কোস্টামু' নামে একে ডাকা হয়। ইংরেজিতে এটি 'Crêpe ginger', 'Malay ginger' এবং 'White costus' নামে পরিচিত।  Costus গণভুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে এটিই সম্ভবতঃ সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলের উদ্ভিদ। বাংলাদেশ, ভারত ও চীন থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া ও কুইন্সল্যান্ড পর্যন্ত এর আদি বিস্তৃতি। পরে এটি মরিশাস, ফিজি, হাওয়াই, কোস্টা রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এটি আদা গাছের সমগোত্রীয়। রাইজোম বা কন্দ থেকে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে; এছাড়া পাখির মাধ্যমেও এর বীজের বিস্তারণ ঘটে।  এই গাছের ফল পা...

রামসর ফুল

ছবি
ফুলের নাম- রামসর, মালী, হাপরমালী  বৈজ্ঞানিক নাম- Vallaris solanacea(Synonyms: Peltanthera solanacea, Vallaris heynei)  পরিবার- Apocynaceae (Oleander family)  ইন্দো-মালয়ী প্রজাতি। সিলেটে একসময় অনেক দেখা যেত। দেয়ালে কিংবা কোনো গাছকে আঁকড়ে ধরে উপরে উঠে গেছে। ঢাকায় তেমন দেখা যায় না। একটি গাছ শিশু একাডেমীর বাগানে আছে। এর বাইরে এ ফুলটি এখন আর দেখা যায় না। নমনীয় চিরসবুজ লতান গাছ, গোড়ার ডালপালা মাটিতে গড়িয়ে বড় ঝোপ গড়ে তোলে। পাতা উজ্জ্বল সবুজ, ৫-৮*৩ সেমি, আগা চোখা, বিন্যাস বিপরীত, ছিঁড়লে কষ বের হয়। বসন্তে পাতার মধ্যে ৩-৬ টি ফুলের ছোট ছোট থোকা, সাদা, সুগন্ধি। ৫টি গোল পাপড়ি, ১.৫ সেমি চওড়া। ফুলের মতোই সুগন্ধযুক্ত এর পাতা। সে জন্যই মালয় বিয়ের সাজসজ্জার বিভিন্ন আয়োজনে হাপরমালির পাতার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট