পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজঘন্টা, রাজধুতরা, অ্যাঞ্জেল’স ট্রাম্পিট

ছবি
ফুলের নাম- রাজঘন্টা, রাজধুতরা, অ্যাঞ্জেল’স ট্রাম্পিট  বৈজ্ঞানিক নাম- Brugmansia suaveolens(Syn. Datura suaveolens, Datura gardneri Hook.)  পরিবার- Solanaceae  অন্যান্য নাম- Brugmansia, angel-star  Daturae গোষ্ঠী(Tribe) দুটি গণে বিভক্ত- Brugmansia এবং Datura। Brugmansia গণের গাছগুলোর নাম অ্যাঞ্জেল’স ট্রাম্পিট আর Datura গণের বিশেষ করে Datura metel এর নাম ডেভিল’স ট্রাম্পিট।  অ্যাঞ্জেল’স ট্রাম্পিট( Brugmansia suaveolens) কে বাংলায় রাজঘন্টা নামে ডাকা হয়। এটি দক্ষিণ আমেরিকার প্রজাতি। ১০-১৬ ফুট লম্বা আধা-কাষ্ঠল গুল্ম বা ছোট আকারের বৃক্ষ। ডিম্বাকৃতির পাতা, ১০ইঞ্চি লম্বা ও ৬ইঞ্চি চওড়া। ছায়ায় জন্মানো গাছের পাতা বড় হয়ে থাকে। ৯-১৩ ইঞ্চি লম্বা, ট্রাম্পিট আকারের ফুল দৃষ্টিনন্দন ও সুগন্ধি। ফুল দেখতে ধুতুরা ফুলের মতো, গাছ থেকে ফুল নিচের দিকে মুখ করে ঝুলে থাকে। সাদা, গোলাপি আর হলুদ রঙের ফুল দেখা যায়। ডাল মাটিতে গেথে দিলেই চারা গজায় কিন্তু রাজঘন্টা ফুল খুব বেশি দেখা যায় না।  তথ্যসূত্র - ফুলগুলি যেন কথা~দ্বিজেন শর্মা ও উইকিপিডিয়া  ছবি- ...

ধুতরা

ছবি
ফুলের নাম- ধুতরা, ডেভিল’স ট্রাম্পিট  বৈজ্ঞানিক নাম- Datura metel  পরিবার- Solanaceae  উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোর বুনো গাছ। একসময় বাংলাদেশেও অনেক দেখা যেত। এখন কম দেখা গেলেও টিকে আছে। নরম ডালপালাবিশিষ্ট গাছ, প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতা বড়, ডিম্বাকার, কালচে। পাতার কক্ষে একেকটি ফুল, ১২-১৫ সেমি লম্বা, বাইরে বেগুনি ভিতরে সাদা, কিংবা সম্পূর্ণ সাদা ফুল, সিঙ্গেল বা ডাবল, সুগন্ধি।  ফল গোল, কাটাভরা, বিদারী। অসংখ্য বাদামি বীজ থাকে ফলের ভিতর এবং বীজ থেকেই নতুন চারা গজায়। সমস্ত অংশই বিষাক্ত। এতে আছে বিপজ্জনক মাত্রার tropane alkaloids নামক বিষ। এই গাছের বিষক্রিয়ায় মানুষ বা পশুপাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে অনেক দেশেই ধুতুরার উৎপাদন, বিপনন ও বহন আইনত নিষিদ্ধ। আবার চৈনিক ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে বর্ণিত পঞ্চাশটি প্রধান উদ্ভিদের একটি এই ধুতুরা।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা~দ্বিজেন শর্মা   ছবি- নেট

পিয়াল

ছবি
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “নব শ্যামল শোভন রথে  এসো বকুল বিছানো পথে,  এসো বাজায়ে ব্যাকুল বেণু  মেখে পিয়াল ফুলের রেণু।“ অথবা  “ওই মালতীলতা দোলে  পিয়ালতরুর কোলে পুব-হাওয়াতে।“  গান-কবিতায় অথবা লোকমুখে পিয়ালের নাম শুনে নি, এমন প্রকৃতিপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পিয়াল ফুলকে নিয়ে আজকের পোস্ট।  বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারের প্রজাতি। বিশ্বজুড়ে Buchanania গণের প্রায় বিশ/কুড়িটি প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে ৬ টি প্রজাতি এই উপমহাদেশে পাওয়া যায়।  ফুলের নাম- পিয়াল  বৈজ্ঞানিক নাম- Buchanania lanzan(Synonyms: Buchanania latifolia, Chironjia sapida)  পরিবার- Anacardiaceae (Cashew family)  অন্যান্য নাম- চিরঞ্জী, চিঁবৌজী, ইংরেজিতে Chironji Tree, almondette, calumpong nut, Cheronjee, Cuddapah almond, Hamilton mombin প্রভৃতি।  পিয়াল গাছ ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। পাতা বেশ বড়, লম্বাটে-গোলাকার, ৮/১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডাল থেকে অসম সজ্জায় পাতা বের হয়। পাতায় ছোট বোঁটা আছে। শাখার আগায় বসন্তে ফুল হয়। ছোট ছোট ফুল। মার্চ মাসে ...

বকফুল

ছবি
ফুলের নাম- বকফুল  বৈজ্ঞানিক নাম- Sesbania grandiflora  পরিবার- Fabaceae  অন্যান্য নাম- Agati, Butterfly Tree, Corkwood tree, Gallito, Cresta de Gallo, Báculo, Hummingbird Tree  আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরনো। প্রচলিত আরেকটি নাম বাসনা। প্রাচীন সাহিত্যেও তার উল্লেখ আছে। রাজনিঘন্টু ও ভারতচন্দ্রের কবিতায় বকফুলের প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। ভারতচন্দ্র লিখেছেন— ‘অশোক কিংশুক মধুটগর/ চম্পক পুন্নাগ নাগকেশর/ গন্ধরাজ যুতি ঝাটি মনোহর/ বাসক বক শেফালিকা।’  ক্ষুদ্র আকৃতির পত্রমোচী গাছ। কাণ্ড সরল, উন্নত, ম্লান-বাদামি ও মসৃণ। যৌগিক পত্রটি পালকের মতো এবং আকর্ষণীয়, পত্রিকা আয়তাকৃতি, সজোড় ও গাঢ়-সবুজ। কাক্ষিক মঞ্জরি অনিয়ত এবং স্বল্প-পৌষ্পিক। কোমল কলিগুলো বাঁকানো। দেখতে অনেকটা পাখির ঠোঁটের মতোই, বৃতিযুক্ত, দ্বিধাবিভক্ত ও সবুজ। পুষ্পস্তবকে পরাগকেশর সংখ্যা দশ, দুই গুচ্ছে বিভক্ত। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। তিনটি রঙের ফুল- সাদা, রক্তলাল ও ঈষত্ গোলাপি।  প্রথমোক্তটি সহজেই পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বাগানে, দ্বিতীয়টি রমনা পার্ক ও শেষেরটি মির্জাপ...

ফুলে রঙ করা

ছবি
ফুলে রং করার প্রচলন নতুন কোনো বিষয় না, সহস্রাব্দ আগে থেকে এখন পর্যন্ত চলছে। ধারণা করা হয়, ফুলে বিচিত্রতা এবং ব্যবসায়ে নতুনত্ব সংযোজনের লক্ষ্যে এই পদ্ধতির উদ্ভব।  প্রচলিত কিছু পদ্ধতি হচ্ছে- * স্প্রেয়িং(Spraying)- এক্ষেত্রে ফ্লোরাল স্প্রে ব্যবহার করে সাদা ফুলকে পছন্দমতো রং করা হয়।  • ডিপ ডাই(Deep dye)- ফুলকে রং মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে পানি দিয়ে হালকা ধুয়ে শুকিয়ে নেয়া হয়।  • টাই-ডাই(Tie-dye)/অ্যাবসরপশন ডাই(Absorption dye)- ফুলের ডাল কেটে রং মিশ্রিত পানিতে ১২/২৪ ঘন্টা রেখে দিতে হয়। ফুল রং মিশ্রিত পানি শোষণ করে। ফলে, পাপড়িতে বর্ণবৈচিত্র্য ঘটে।  টাই-ডাই(Tie-dye)/অ্যাবসরপশন ডাই(Absorption dye) এর মাধ্যমে ফুলকে রং করার পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয়। এ সম্পর্কেই লিখছি- টাই-ডাই(Tie-dye)/অ্যাবসরপশন ডাই(Absorption dye) হচ্ছে মূলতঃ ফুলের ডাল কেটে রং মিশ্রিত পানিতে ১২/২৪ ঘন্টা রেখে দেয়ার মাধ্যমে ফুলে রঙ করার পদ্ধতি। এতে করে ফুল রং মিশ্রিত পানি শোষণ করে এবং পাপড়িতে বর্ণবৈচিত্র্য ঘটে।  ফুলে রঙ করতে যা যা লাগবেঃ  ১. টাটকা সাদা ফুল,  ২. ফুড কালার...

কারনেশন

ছবি
ফুলের নাম- কারনেশন  বৈজ্ঞানিক নাম- Dianthus caryophyllus  পরিবার- Caryophyllaceae  স্পেন, মোনাকো, শ্লোভেনিয়ার জাতীয় ফুল কারনেশন। কারনেশনের আদি নিবাস সম্পর্কে জানা যায় নি। ধারণা করা হয়, ২০০০ বছর যাবৎ বানিজ্যিকভাবে এর চাষ করা হচ্ছে। উন্নত কাট-ফ্লাওয়ার উৎপাদনের লক্ষ্যে সাধারণত গ্রিনহাউস বা পলিশেডে কারনেশন চাষ করার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়। উজ্জ্বল সূর্যালোক গাছের বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত ফুল উৎপাদনে সাহায্য করে।  টবে রোপণ পদ্ধতি : ৮-১০ ইঞ্চি আকারের টবে সারা বছর কারনেশন ফুল উৎপাদন করা যায়। টবের নিচে ইটভাঙা ২ ইঞ্চি পুরু করে দিয়ে গোবর ও রাসায়নিক সার মিশ্রিত মাটি ভর্তি করে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে। ৭ দিন পর টিস্যু কালচারের হার্ডেনিং করা চারা লাগাতে হবে। গাছ ৬-৭ ইঞ্চি লম্বা হলে গাছের আগা কেটে দিলে অনেক শাখা বের হবে। পরে গাছগুলো বড় হতে থাকলে একসঙ্গে খুঁটি দিয়ে বেঁধে সোজা করে রাখতে হবে এবং নিয়মিত পানি দিতে হবে।  পানি সেচ : নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। মাঝে-মধ্যে মাটি শুকনো এবং মালচিং করে দিতে হবে।  রোগবালাই : মাটিবাহিত র...

পালান

ছবি
ফুলের নাম- পালান  বৈজ্ঞানিক নাম- Wrightia coccinea  ইংরেজি নাম- Scarlet Wrightia  পরিবার Apocynaceae  পালান এক প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এর নাম পালাম। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় গাছ। দেশ দু'টির পাহাড়ি এলাকায় এরা জন্মায়। গাছ উচ্চতায় ২০ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতা ডিম্বাকৃতির ও উজ্জ্বল সবুজ। পালান গাছের ফুল সিঁদুরলাল রঙের ও প্রায়-ফানেল আকৃতির। ফুলের পাপড়ি ছোট, সংখ্যায় পাঁচ ও আকারে গোল। ফুলে সুবাস রয়েছে এবং ফুলের ওপর মাছি সারাক্ষণ উড়ে বেড়ায়। ডালের ডগায় চার থেকে পাঁচটি ফুল একত্রে ফোটে। বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্মের শুরুতে ফুল ফুটতে শুরু করে। মে মাসের পর আর ফুল থাকে না। বীজের দৈর্ঘ্য ২ সেমি।  ছবি- রিতেশ চৌধুরী

বৈচি

ছবি
ফুলের নামঃ বৈঁচি  বৈজ্ঞানিক নামঃ Flacourtia indica  পরিবারঃ Salicaceae  অন্যান্য নামঃ কাঁটাবহরী, বুঁজ, ডুংখইর, গাছটি নানা দেশে নানা নামে পরিচিত। মালয় ভাষায় কেরকুপ কেচিল, থাই ভাষায় তা-খোপ-পা এবং লাও ভাষায় গেন , এবং তাগালোগ ভাষায় বিতঙ্গল, বলং ও পাতুলান নামে পরিচিত। আফ্রিকার কয়েক জায়গায় একে কোকোউই এবং শ্রীলংকায় উগুরেসসা নামে ডাকা হয়। ফ্রেঞ্চ ভাষায় এর নাম প্রুনিয়ের দ্য মাদাগাস্কার এবং গ্রসে প্রুন দ্য কাফে। এর জার্মান নাম এচে ফ্লাকুর্তিয়ে, স্প্যানিশ নাম সিরুয়েলা গভের্নাদোরা এবং বার্মিজ নাম না-ইউ-ওয়ানি।  সেই বৈঁচির মালা... শরৎবাবুকে ছোট্টবেলায় রাজলক্ষী বানিয়ে এনে দিত। বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় বৈঁচি ফুল ও এর গাছ । বৈঁচি ফুল ক্ষুদ্র আকারের, হালকা পীত রঙের। সাধারণত শীতের শেষে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বঁইচিগাছে ফুল ধরে। পাঁচ পাপড়িযুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ফুল। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ফোটে। জ্যৈষ্ঠ মাস (এপ্রিল-জুন) থেকে ফল পাকতে শুরু করে। কাঁচা ফল গোলাকার সবুজ। পাকলে গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। এর স্ব্বাদ টক-মিষ্টি। বাংলাদেশের গ্রামের শিশুরা পাকা ফলের মালা...

বাসক

ছবি
“আলোকলতার পাশে গন্ধ ঢালে  দ্রোণ ফুল বাসকের গায়;  তবুও সেখানে আমি নিয়ে যাবো  একদিন পাটকিলে ঘোড়া,  যার রুপ জন্মে-জন্মে কাঁদায়েছে  আমি তারে খুঁজিব সেথায়।“  ~জীবনানন্দ দাশ  ফুলের নাম- বাসক  বৈজ্ঞানিক নাম- Justicia adhatoda  পরিবার- Acanthaceae  অন্যান্য নাম- আড়ুসা, বাসা, বাকস রুজা, আদুলসা, সংস্কৃতে বৃষ, ইংরেজিতে Malabar Nut, Adhatoda প্রভৃতি।  বাড়ির বেড়ার ধারে, উঠোনের কোণায় বা ঝোপঝাড়ে যে ভেষজটি সহজে জন্মে তার নাম বাসক। বাসক গাছ প্রায় ৫-৬ ফুট উঁচু হয়। ভালো ও উর্বর পরিবেশ পেলে আরো বড় হয়। গ্রীষ্মকালে সাদা ফুল হয়। ফুলগুলো কিন্তু খুব সুন্দর। বাসক গাছ বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই পাওয়া যায়।  বাসক পাতার চাহিদা প্রচুর। রাস্তার পাশে বা পরিত্যাক্ত জমিতে বাসক চাষ লাভজনক ব্যবসা। বাসকের মূল, ছাল, পাতা অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু বাসক পাতা ভারী তেতো। এমনকি মিছরি যোগ করলেও তিক্ততা কমে না। শ্বসনতন্ত্রের রোগ, ক্রিমি, বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে বাসক উপকারী ভেষজ।  তথ্যসূত্র- গাছপালা তরুলতা  ছবি- নেট

তাম্রপুষ্পি বাসক

ছবি
ফুলের নাম- তাম্রপুষ্পি বাসক, রাম বাসক, বাঘাতিতা  বৈজ্ঞানিক নাম- Phlogacanthus thyrsiflorus  পরিবার- Acanthaceae  অন্যান্য নাম- সিংহাস্য, সিংহপুচ্ছ  বুনো ফুল। বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ভুটান এ এই ফুল প্রাকৃতিকভাবে বিস্তৃত। ঝোপ-ঝাড় বা নদীর পাড়ে এদের দেখা মিলবে। গাছ প্রায় ২.৪ মিটার লম্বা হয়। ফুল হলদে লাল বা তামাটে রঙের হয়। তামাটে রঙের ফুলের জন্য ফুলের নাম তাম্রপুষ্পি বাসক।  সাদা ফুলের বাসক যেমন তেতো তাম্রপুষ্পি বাসকও তেমন তেতো, সম্ভবত নাম তাই বাঘাতিতা। ফুলের গঠন সিংহের হা-করা মুখের হাসির মতো, তাই সিংহাস্য নাম। আবার তার পুষ্পদন্ড নাকি সিংহের লেজের মতো, তাই এর নাম সিংহপুচ্ছ। আর রামবাসক নামটি সম্ভবত এর গুণের জন্য।  আমাদের পরিচিত বাসক আর তাম্রপুষ্পি বাসক একই পরিবারের উদ্ভিদ। গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই বাসকের গুণ প্রায় সমান। ঠান্ডা-কাশি, অ্যাজমা, রক্তপিত্ত, হুপিং কাশি প্রভৃতিতে উপকারী। কিন্তু এর মাত্রা জেনে ব্যবহার করা উচিত। বেশি মাত্রায় ব্যবহারে তন্দ্রাভাব আসে, তবে কোনো ক্ষতি হয় না।  তথ্যসূত্র- গাছপালা তরুলতা  ছবি- নেট 

সুইট উইলিয়াম

ছবি
ফুলের নাম- সুইট সুলতান  বৈজ্ঞানিক নাম- Centaurea moschata (Synonym: Amberboa moschata, Centaurea imperialis)  পরিবার- Asteraceae  পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় প্রজাতি। গাছ ৯০ সেমি পর্যন্ত উঁচু। পাতার কিনার দন্তর। লম্বা ডাঁটার আগায় সুগন্ধি ফুল, নানা রঙের- সাদা, উজ্জ্বল লাল, বেগুনি-গোলাপী, বেগুনি ও হলুদ।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট

কনকসুধা

ছবি
ফুলের নাম- কনকসুধা  বৈজ্ঞানিক নাম- Odontadenia macrantha  পরিবার- Apocynaceae  বলধা গার্ডেনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে গাছ সংগ্রহ করেছেন জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী। একটি ফুলগাছের জন্য ফরমায়েশ দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এটি জাহাজে চড়ে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু ভুলে জাহাজে চড়ে গাছটি চলে গেল অস্ট্রেলিয়ায়। শুনে মনটা খারাপ হয় নরেন্দ্র নারায়ণের। বহু পথ জাহাজ ভ্রমণ শেষে একদিন ফুলগাছটি আসে বলধায়। এই গাছটির বাংলা নাম কনকসুধা। এ নাম দিয়েছেন অমৃতলাল আচার্য। তিনি বলধা গার্ডেন তৈরির সময় এই বাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।  কনকসুধা একটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। কনকসুধার আদিনিবাস নর্দান সাউথ আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকা। বাংলাদেশে কনকসুধা গাছ মাত্র দুটি। একটি শতবর্ষের পুরাতন। শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে আসা। যেটি আছে বলধার সাইকি ভাগে। অন্যটি বলধা গার্ডেনের বর্তমান মালী দুলালের হাতে চারা করা, যেটি রোপণ করা হয়েছে বলধার সিবিলি ভাগে। ঝাঁকালো কনকসুধার পাতার রং উজ্জ্বল সবুজ। ফুলের রং ফিকে হলুদ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে অনেকটা কলমির মতো দেখতে কনকসুধা ফুল ঝুলে থাকে থোকায় থোকায়। কনকসুধা ফুলের মধ্য...

টুনা ফল, Prickly pears

ছবি
ফুলের নাম- Prickly pear, Indian fig opuntia  বৈজ্ঞানিক নাম- Opuntia ficus-indica  পরিবার- Cactaceae  অনেকদিন পর আজ স্যারের সাথে দেখা হলো। সালাম দিতেই স্যার খোঁজখবর নিয়ে হাতে থাকা ব্যাগ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো এর ভেতর কি আছে?”। “স্যার ব্যাগের ভেতর কি আছে বাহির থেকে কিভাবে বোঝা সম্ভব?” স্যারের কাছ থেকে জানার আগ্রহ নিয়ে জবাব দিলাম। অবশেষে স্যারই রহস্যভেদ করে বললেন এই ফলের কথা। নেট সার্চ করে দেখলাম এ তো বিশাল ব্যাপার!!! ক্যাকটাস জাতীয় গাছের ড্রাগন ফলের কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু এই ক্যাকটাসটা আমার কাছে একদম নতুন। তাই পুষ্পকথনের সবার সাথে শেয়ার করছি।  এই গাছের আদিনিবাস মেক্সিকো। তবে এর সুস্বাদু ফলের জন্য মেক্সিকো, মাল্টা, স্পেন, সিসিলি, ইতালির দক্ষিণাঞ্চল, গ্রীস, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, লেবানন, সিরিয়া, মিশর, সোদি আরব, ইয়ামেন, ইসরায়েল, চিলি, ব্রাজিল, তুরস্ক, ইরিট্রিয়া, ইথিওপিয়া, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে চাষ করা হয়। এর কোনো বাংলা নাম না থাকলেও ফলের বেশ কিছু ইংরেজি নাম রয়েছে- টুনা, Indian fig opuntia, barbary fig, cactus pear,spineles...

ইল্যাং ইল্যাং

ছবি
ফুলের নাম- ইল্যাং ইল্যং  বৈজ্ঞানিক নাম- Cananga odorata  পরিবার- Annonaceae  অন্যান্য নাম- Cananga tree, fragrant cananga, Macassar-oil plant, perfume tree  কোনো বাংলা নাম নেই। গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের ফুল। দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জে খুব বেশি পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে ক্যানাঙ্গা দুষ্প্রাপ্য। বলধা গার্ডেন ছাড়া দেশে আর কোথাও খুঁজে পাবেন না।  গাছের উজ্জ্বল সবুজ পাতা বর্শার ফলার মতো চোখা। ডালপালা ততটা শক্ত নয়। উচ্চতায়ও তেমন আহামরি নয়। সাত-আট ফুট উচ্চতার ক্যানাঙ্গা/ইল্যাং ইল্যাং বাংলাদেশে মূলত বলধা বাগানে দেখা যায়। সিবিলি ও সাইকি-দুই ভাগেই অনেক গাছ রয়েছে।  ফুলের সৌরভ হাসনাহেনার মতো দূর থেকে টানবে না। তবে কাছে গেলে আপ্লুত হবেন। ফুলের কাঁচা-পাকা একটা ব্যাপার রয়েছে। কাঁচা ফুলের গন্ধ এক রকম, ফুল পেকে হলুদ হলে আরেক রকম। পাকা ফুলের গন্ধ যেন এক রহস্য। মনে হবে, খুব পরিচিত, খুব চেনা চেনা। কিসের সঙ্গে যেন মিল রয়েছে। ক্যানাঙ্গার মিষ্টি ঘ্রাণে রয়েছে অসাধারণ এক টান। একদম অন্য রকম। ফুল যত পুরোনো হয়, তার সৌরভ ঠিক ততটাই য...

বাঘনখ

ছবি
ফুলের নাম- বাঘনখ  বৈজ্ঞানিক নাম- Martynia annua(Syn. Martynia diandra)  পরিবার- Martyniaceae  অন্যান্য নাম- ইংরেজিতে Devil's Claws, Tiger's Claw, Cat's claw; হিন্দিতে উলট-কাঁটা, বাঘনখ, हाथाजोड़ी Hatha-jori প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।  Martynia গণের একটিমাত্র প্রজাতি Martynia annua(Syn. Martynia diandra)। গণের নাম Martynia রাখা হয়েছে ক্যামব্রিজের বোট্যানি গবেষক জন মার্টিন এর সম্মানার্থে।  মেক্সিকোর প্রজাতি। সাধারণত ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয় এই গাছগুলো। গাছের পাতা ৬-১৫ সেমি চওড়া, উভয়পৃষ্ট রোমশ, পাতার ডাঁটা ৯-১৪ সেমি লম্বা। ফুল ঘন্টার মতো, সাদা আর রক্তবেগুনি বর্ণে সাজানো। ফুল থেকে সৃষ্ট pod শুরুতে সবুজ এবং পরে কালো বর্ণধারণ করে। এই seed pod গুলোই মূলত বাঘের নখের সাথে তুলনা করে এরুপ নামকরণ করা হয়েছে।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;-----------

কার্ডওয়েল লিলি

ছবি
ফুলের নাম- কার্ডওয়েল লিলি  বৈজ্ঞানিক নাম- Proiphys amboinensis  কার্ডওয়েল লিলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার গাছ। পৃথিবীর বিভিন্ন উষ্ণ অঞ্চলে আকর্ষণীয় কন্দজ ফুল হিসেবে সুপরিচিত। এরা মূলত বৃষ্টিবহুল বন ও সাগরপাড়ের বাসিন্দা। ইংরেজিতে Brisbane Lily বা Northern Christmas Lily নামেও পরিচিত।  কার্ডওয়েল লিলি বহুবর্ষজীবী কন্দজ গাছ। বড় আকৃতির পাতাগুলো লম্বায় ২৫ সে.মি. এবং চওড়ায় ৩৫ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে, দেখতে অনেকটা কিডনি আকৃতির, কিনারা ওপরের দিকে মোড়ানো এবং সুস্পষ্ট শিরাযুক্ত। কাণ্ড ১৫ থেকে ৬০ সে.মি. পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। সাদা রঙের ফুলগুলো ফোটে গ্রীষ্মে, অন্তত ১৮টি ফুলের একটি বড় থোঁকা থাকে। প্রতিটি একক ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ছয়, হলদেটে পরাগকেশর অনেকটাই দৃশ্যমান। ফুল দীর্ঘস্থায়ী। সাধারণত শীতের আগেই রিক্ত মঞ্জরিদণ্ড নিজের দীনতা জানান দিতে শুরু করে। তারপর হিমেল বাতাসের স্পর্শে ধীরে ধীরে ধড়টা শুকিয়ে ওরা মাটির কম্বলে শীতঘুমে চলে যায়। ফুল দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সব ধরনের বাগানেই শোভা বৃদ্ধির জন্য রোপণ করা যেতে পারে। টবেও চাষযোগ্য। বাড়ির লনে বেশ মানানসই।  তথ্যসূত্র- http://...

রাজজুই

ছবি
ফুলের নাম- রাজজুঁই  বৈজ্ঞানিক নাম- Jasminum nitidum(Syn. Jasminum magnificum, Jasminum ilicifolium)  পরিবার- Oleaceae  অন্যান্য নাম- রাজ চামেলি(হিন্দি), ইংরেজিতে এঞ্জেলউইং জেসমিন, রয়েল জেসমিন, শাইনিং জেসমিন, স্টার জেসমিন, ওয়াইন্ডমিল জেসমিন উল্লেখযোগ্য।  আদিনিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের পাপুয়া নিউগিনি ও এর উপ-দ্বীপগুলোয়। রাজজুঁই চিরসবুজ বা আধাসবুজ লতা বা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পাতা উজ্জ্বল সবুজ, উপবৃত্তাকার। লতান গাছ খুব দ্রুত বাড়ে, প্রায় ২০-২৫ ফুট লম্বা হয়ে যায়। আর গুল্মজাতীয় রাজজুঁই গাছ ২-৪ ফুট লম্বা হয়। চমৎকার মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত শুভ্র সাদা রঙ্গা নয় পাপড়ির ফুল, বেগুনি বা হালকা রক্তবর্ণের কুঁড়ি। শেষ বসন্তের ফুল রাজজুঁই গাছে থাকে গ্রীষ্মকালজুড়ে। ফুল ফোটে রাতের বেলায়। একটি গাছ আছে বলধা গার্ডেনের সাইকি ভাগের জলপাই আর রাজঅশোকের সামনে। আর কোনো পার্কে এখনো দেখা মিলেনি।  তথ্যসূত্র- জুঁই নামের আরেক ফুল(লেখা- ফারুখ আহমেদ, দৈনিক সমকাল, ১৫ অক্টোবর ২০১৪)  ছবি-নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;------

রক্তরাগ

ছবি
ফুলের নাম- রক্তরাগ, স্কারলেট কর্ডিয়া  বৈজ্ঞানিক নাম- Cordia sebestena  পরিবার- Boraginaceae  অন্যান্য নাম- siricote/kopté (Mayan), Geiger Tree, scarlet cordia  আদি আবাস কিউবা ও পেরু, জন্মে বাংলাদেশসহ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতে। আঠার শতকে ওলন্দাজরা এ গাছ ভারতে নিয়ে আসে। গাছ ছোটখাটো, ৫ থেকে ৮ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, কখনো গুল্ম আকারের। পাতা একক, ১০ থেকে ১৮ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার। ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে প্রায় সারা বছর, তবে শীত থেকে বসন্তেই বেশি দেখা যায়। ফুল ৩ থেকে ৫ সেমি লম্বা, পাপড়ি সংখ্যা ৬। ফল ডিম্বাকার, শাঁসাল, প্রায় ৪ সেমি লম্বা, বৃতিযুক্ত। বীজ আঠাল শাঁসে জড়ানো। শুষ্ক অঞ্চলে ভালো বাড়ে। বীজ, কলম ও দাবাকলমে চাষ। যতদূর জানা যায় একজন অভিজ্ঞ নিসর্গীর হাতেই ঢাকায় প্রথম বীজ থেকে চারা তৈরি করে দুটি গাছ ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ঢাকা ক্লাব লাগোয়া টেনিস কমপ্লেক্স চত্বরে লাগানো হয়। তাও অনেক বছর আগের কথা। সেখানেই তিনটি গাছ আছে। আরেকটি গাছ অপেক্ষাকৃত ছোট, অনেক পরে লাগানো। ড. নওয়াজেশ আহমদ 'মহাবনস্পতির পদাবলী' গ্রন্থে 'অনাপ্য বৃক্ষ-সন্ধান' শিরোনামের লেখায় ...

নীল গোলাপ

ছবি
ফুলের নাম- নীল গোলাপ  বৈজ্ঞানিক নাম- নেই  গণ- Rosa  পরিবার- Rosaceae  গল্প-সাহিত্যে নীল গোলাপের জন্ম, বাস্তবে কোনো গোলাপ গাছেই নীল গোলাপ ফোঁটে না। কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায় নীল গোলাপ হচ্ছে “symbol of love and prosperity to those who seek it”। কিন্তু বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্বই নেই তাকে নিয়ে এতো মাতামাতি!!! তাই বাধ্য হয়ে ২০০৪ সাল থেকে বৈজ্ঞানিকরা খুজতে থাকলেন নীল গোলাপ সৃষ্টির উপায়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ফুলে নীল রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে চলতে থাকে গবেষণা। নতুন উদ্ভাবিত ফুলের নাম দেন ব্লু মুন। কিন্তু কোথায় সেই বহু প্রত্যাশিত নীল গোলাপ!? এই ফুলের রঙ যে লাইলাক(লালচে বেগুনি)!! চলতে থাকে গবেষণা। ২০০৮ সালে তারা আবার ঘোষণা করলেন এখন থেকে গাছেই ফুঁটবে নীল গোলাপ। জাপানি কোম্পানি সানতোরি লিমিটেড এই গবেষণার মূল উদ্যোক্তা, তাই এই নীল গোলাপের স্বত্ত্ব তাদেরই। তাদের হিসেবে প্রতিটি নীল গোলাপের দাম পড়বে ২০০০-৩০০০ ইয়েন বা ২২-৩৫ ইউএস ডলার। তারপরেও ফুলের রঙ নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট হবেন কিনা তা প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ এতো দামী ফুলটাও কিন্তু খাটি নীল রঙের নয়। ত...

কালো গোলাপ

ছবি
ফুলের নাম- কালো গোলাপ  বৈজ্ঞানিক নাম- নেই  গণ- Rosa  পরিবার- Rosaceae  রূপকথার রাজ্যে রাজা, রানী, দৈত্য, দানব, উড়ন্ত পক্সখীরাজ ঘোড়া আরও কত কি-ই না আছে! রূপকথার পৃথিবী শুধু শিশু নয় ছোট-বড় সবার কাছেই ভীষণ প্রিয়। সেই রূপকথার রাজ্যের আরেক রাজার নাম 'ব্লাক রোজ'।  ব্লাক রোজ বা কালো গোলাপ কিংবদন্তি হয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে। আজও সে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। একটা সময় কালো গোলাপ নিয়ে মাতামাতির অন্ত ছিল না। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ফ্লাওয়ার্স ল্যাঙ্গুয়েজ সৃষ্টি হয়। এ সময় কালো গোলাপ মৃত্যু, ঘৃণা, বিদায় এবং ভয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, জীবনের লম্বা সময় অতিবাহিত করাকেও কালো গোলাপ দিয়ে বোঝানো হতো। তবে কালো গোলাপ যে শুধু খারাপ অর্থেই ব্যবহার হতো, তা নয়। খুব প্রিয় বন্ধুকে বা যুদ্ধে গমনরত সৈনিককেও কালো গোলাপ দেওয়া হতো আগের দিনে। কিন্তু সত্য হলো, যে কালো গোলাপ নিয়ে এত মাতামাতি, প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতিতে তার কোনো অস্তিত্ব আছে কি? সত্যিই নেই। অনেকটা 'মোল্লার গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই' অবস্থা আর কি। তাই কালো গোলাপকে রূপকথার গোলাপ বলাই বোধ হয় ভালো।  কালো গোলাপ...

সিলভারলিফ

ছবি
ফুলের বাংলা নাম নেই ইংরেজিতে- Texas Ranger, Texas Rain Sage, Cenizo,Texas Silverleaf, Ash-bush, Wild Lilac, Purple Sage, Senisa, Cenicilla, Palo Cenizo, Hierba del Cenizo. নামে ডাকা হয়।  বৈজ্ঞানিক নাম- Leucophyllum frutescens  পরিবার- Scrophulariaceae  বাগানের সৌন্দর্যবৃদ্ধিকারক গাছ। গরম ও খড়াসহিষ্ণু, তেমন যত্ন-আত্নি ছাড়াই বাঁচে। পাতাগুলো রুপালি আভাযুক্ত। গাছ ছেঁটে নিজের পছন্দমতো করে রাখা যায়। ফুল ছাড়া ঝোপালো গাছ দেখতে সুন্দর আর ঘন্টা বা ফানেলাকৃতির বেগুনি রঙের ফুল গাছের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।  এছাড়া Theona Checkerspot (Chlosyne theona) এবং Calleta Silkmoth (Eupackardia calleta) প্রজাপতির পছন্দের গাছ।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-‘-;-‘-;---------