পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রিম্প ফ্লাওয়ার

ছবি
ফুলের নাম- শ্রিম্প ফ্লাওয়ার  বৈজ্ঞানিক নাম- Justicia brandegeana  পরিবার- Acanthaceae  অন্যান্য নাম- Mexican shrimp plant, shrimp plant, false hop  মেক্সিকো ও ফ্লোরিডার প্রজাতি। সাধারণত ১ মিটার পর্যন্ত উচু হয় এই গাছগুলো। ডিম্বাকার, সবুজ পাতা, ৩-৭.৫ সেমি লম্বা। বাসক ফুলের মতো সাদা ফুল লাল ব্রাক্টের ভিতর থেকে বেরোয়। অনেকগুলো লাল ব্রাক্ট এমনভাবে থাকে যা দেখতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো তাই গাছের নাম- শ্রিম্প প্ল্যান্ট। হলুদ রঙের ব্রাক্টযুক্ত গাছ ও আছে।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;---------

পলক জুঁই

ছবি
ফুলের নাম- পলকজুঁই  বৈজ্ঞানিক নাম- Ixora undulata  নাম পলকজুঁই হলেও প্রকৃত জুঁইয়ের সঙ্গে এদের তেমন কোনো সাদৃশ্য নেই। কারণ, বর্ণিত জুঁই গুল্ম বা মাঝারি উচ্চতার গাছ হলেও প্রকৃত জুঁই লতান ধরনের গাছ।  জানামতে, আমাদের দেশে এই গাছ অনেকটাই দুষপ্রাপ্য। ঢাকায় বলধা গার্ডেন ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য পার্ক-উদ্যানে কয়েকটি গাছ দেখা যায়। তবে উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে পলকজুঁই আমাদের সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের পত্রমোচী বনে অল্প-বিস্তর থাকতে পারে। কারণ, গাছটির আদি আবাস পশ্চিম ভারত। সেখান থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এখানে এসে থিতু হওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। অবশ্য পুষ্পহীন অবস্থায় এ গাছকে অনেকেই সাধারণ রঙ্গন বলে ভুল করেন।  সুঘ্রাণের জন্যও এই গাছের যথেষ্ট খ্যাতি আছে। পলকজুঁই বড়সড় ধরনের গুল্ম বা ছোট আকৃতির চিরসবুজ গাছ। প্রায় চার মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। সারা বছরই পর্যায়ক্রমে নতুন পাতা গজাতে থাকে। অসংখ্য ডালপালা ও পাতার নিবিড় বুননে এ গাছ দৃষ্টিনন্দন। পাতা ৮ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা, আয়তাকার, মসৃণ ও উজ্জ্বল সবুজ। বোঁটা নেই বললেই চলে, কিংবা বেশ খাটো।  ব...

জেড ক্লাইম্বার

ছবি
ফুলের নাম- Jade Climber, Jade Vine, Emerald Creeper, Flor-de-Jade, Blue Jade Vine, Turquois Jade Vine  বৈজ্ঞানিক নাম- Strongylodon macrobotrys  পরিবার- Fabaceae  সবুজ রঙের পাতাযুক্ত একটি লতান/আরোহী গাছ৷ এর ফুলগুলো ফিরোজা রঙের৷ তবে এই ফুলগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর রং পরিবর্তন হয়৷ অর্থাৎ blue-green রঙ পরিবর্তিত হয়ে ফুলের রঙ mint green হয়ে যায়৷ আমাদের দেশে এই ফুল পাওয়া যায় না।  :) :) @}-;-'-;-'-;---------

এশিয়াটিক লিলি

ছবি
ফুলের নাম- এশিয়াটিক লিলি  বৈজ্ঞানিক নাম- Lilium spp.  এশিয়াটিক লিলি মূলত লিলিয়ামেরই (Lilium spp.) কতগুলো আবাদিত জাত। আবার লিলিয়াম হচ্ছে লিলি গণভুক্ত। সারা বিশ্বে লিলি নামে অজস্র ফুল থাকলেও লিলিয়ামকে মূল লিলি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে এশিয়াটিক লিলি লিলিয়ামেরই কতগুলো রকমফের। লিলি, লিলিয়াম এবং এশিয়াটিক লিলি মিলিয়ে এই ফুলের বর্ণধারা এতই প্রাচুর্যময় যে অনেক সময় আলাদা করে শনাক্ত করাও কঠিন। তবে বর্ণবৈচিত্র্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব ও সুগন্ধের জন্য লিলিয়ামের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সারা বিশ্বে এখন প্রায় ৯০ ধরনের লিলিয়াম চাষ হয়। সেই সূত্রে বর্ণবৈভবের দিক থেকে লিলিয়ামও কম যায় না—সাদা, লাল, হলুদ ও কালো—কত রঙের বাহার! লিলির আদিস্থান ইউরোপ হলেও বর্তমানে এশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।  আমাদের দেশে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে প্রায় সারা বছরই লিলিয়াম চাষ করা সম্ভব। লিলিয়াম মূলত বর্ষজীবী কন্দজ উদ্ভিদ। একটি কন্দ থেকে এক বা একাধিক গাছ হতে পারে। তাতে ফুলের সংখ্যা কয়েকটি, কিছু কিছু সুগন্ধি। পাপড়ি সংখ্যা ছয়। ক্ষেত্...

সুরভি রঙ্গন

ছবি
ফুলের নাম- সুরভি রঙ্গন  বৈজ্ঞানিক নাম- Ixora pavetta(Synonyms- Ixora arborea, Ixora parviflora, Ixora decipiens)  পরিবার- Rubiaceae  অন্যান্য নাম- Small Flowered Ixora, Torch tree, Torchwood ixora  সুরভি রঙ্গন ভিন্নধর্মী রঙ্গন প্রজাতি। অন্যান্য রঙ্গনের মতো এরা গুল্ম নয় বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ আর পরিচিত লাল, হলুদ রঙ্গনের তুলনায় এদের ফুল অনেক ছোট। সুরভি রঙ্গন অনেক শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট ছোট আকৃতির বৃক্ষ। পাতা ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা, কখনো ডিম্বাকার-আয়তাকার কখনো কীলকাকার-ডিম্বাকার, পাতার অগ্রভাগ ভোতা অথবা খুব সামান্য চোখা। ছোট, সাদা, অসংখ্য ফুলের থোকা, সুগন্ধি তবে খুব তীব্র নয়। বসন্তে গাছ ভরে ফুল ফোটে।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;---------

করিওপসিস

ছবি
ফুলের নাম- করিওপ্‌সিস  বৈজ্ঞানিক নাম- Coreopsis tinctoria  পরিবার- Asteraceae  গাছ লম্বা(৬১-৯০ সেমি) বা খাটো(২২-৩০ সেমি), কান্ড সরু, শক্ত। পাতা সবুজ, সরু সরু, ফালি কাটা। ফুল ছোট, গাঢ়-লাল বা হলুদ-বাদামি। শীত ছাড়া অন্য ঋতুতেও ফোঁটে।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট  :) :) @}-;-‘-;-‘-;---------

চাঁদমালা

ফুলের নাম- চাঁদমালা  পরিবার- Menyanthaceae  বৈজ্ঞানিক নাম- Nymphoides hydrophylla  অন্যান্য নাম- Crested floating heart, White water snowflake,White snowflake  আরেকটি প্রজাতি- Nymphoides indica  অন্যান্য নাম- Floating heart, Water snowflake  বাংলাদেশ ও ভারতের প্রজাতি। লতান জলজ উদ্ভিদ, গাঁট থেকে শিকড় গজায়। ভাসমান পাতা প্রায় গোল,৫-৮ সেমি চওড়া, বোঁটা প্রায় ৪ সেমি, উপর মসৃণ, নিচে প্রকট শিরাজাল। ছোট ছোট সাদা ফুল, ৫ পাপড়ি। ফল গোল।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;----------

পার্সিয়ান বাটারকাপ

ছবি
ফুলের নাম- Persian Buttercup, Ranunculus  বৈজ্ঞানিক নাম- Ranunculus asiaticus  পরিবার- Ranunculaceae (buttercup family)  বিদেশি ফুল। বিভিন্ন রঙের গুচ্ছ পাপড়ির এই ফুলগুলো প্রাকৃতিকভাবে পূর্ব-মেডিটেরানিয়ান, আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে বিস্তৃত। বহুবর্ষজীবী, শাখা-প্রশাখাময় গাছ সাধারণত ৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। মূল আর কান্ডের পাতায় ভিন্নতা আছে; মূলের দিকের পাতা অবিভক্ত অথবা কীলকাকৃতির খাঁজকাটা, কান্ডের দিকে থাকা পাতাগুলো আরো সরুভাবে খাঁজকাটা।  নানান রঙের ফুল- সাদা, ক্রিম, হলুদ, কমলা, টকটকে লাল, salmon pink(হালকা/গাঢ়), গাঢ় লাল, মিশ্র। ফুল সিঙ্গেল বা ডাবল। ৩-৫ সেমি ব্যাসের ফুলে ৫-৯ টি পাপড়ি, কালচে বেগুনি বা মেহগনি ব্রাউন বা হালকা তামাটে রঙের অসংখ্য পুংকেশর, চোঙাকৃতির গর্ভমুন্ড রয়েছে। এই গাছ হালকা তুষারপাত সহনশীল।  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;----------

ফ্লকস

ছবি
ফুলের নাম- ফ্লক্স/ফ্লকস্‌  বৈজ্ঞানিক নাম- Phlox drummondii  পরিবার- Polemoniaceae  অন্যান্য নাম- annual phlox, Drummond's phlox  টেক্সাস ও নিউ-মেক্সিকোর প্রজাতি। ছোট গাছ, খাড়া বা গড়ান, ১০-১৫ সেমি লম্বা। পাতা সরু, লম্বাটে। ডালের আগায় ছোট ছোট ফুলের থোকা, গোটা কেয়ারি ভরে রাখে, নানা রঙ- সাদা, গোলাপি, লালা, বেগুনি ইত্যাদি, মাঝখানে বিপরীত ফোঁটা।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;---------

কসমস

ছবি
ফুলের নাম- কসমস  বৈজ্ঞানিক নাম- Cosmos bipinnatus  পরিবার- Asteraceae  অন্যান্য নাম- garden cosmos, Mexican aster  মেক্সিকোর প্রজাতি। গাছ লম্বা, ৯০-১২০ সেমি, ডালপালা আছে। পাতা পক্ষাকারে সরু ফালিতে বিভক্ত। লম্বা ডাঁটায় এক বা একাধিক ফুল, বেশ চওড়া(৬-৮ সেমি), সিঙ্গল কখনও ডাবল, নানা রঙের- সাদা, বেগুনি, গোলাপি, গাঢ়-লাল।  হলুদ বা কমলা রঙের একটি প্রজাতি(C. sulphurus) আছে। গাছ লম্বা বা খাটো(৪০-৪৫ সেমি), ডালপালা আছে। ফিলের মাঝখান কালো বা হলুদ, শীত ও গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই ফোঁটে।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা  ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;--------

ক্রিসমাস ক্যাকটাস

ছবি
ফুলের নাম- ক্রিসমাস ক্যাকটাস  বৈজ্ঞানিক নাম- Schlumbergera (cultivars)  পরিবার- Cactaceae  অন্যান্য নাম- Holiday Cactus, Crab Cactus  মাত্র ছয়টি প্রজাতির ছোট্ট গণ Schlumbergera, আদি নিবাস ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ব্রাজিলে এই গাছকে Flor de Maio অর্থাৎ মে ফ্লাওয়ার বলা হয়। ১৮১৮ সালে সর্বপ্রথম ইউরোপে Schlumbergera truncata প্রজাতির চাষ শুরু হয়। এরপর শুরু হয় সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন। বর্তমানে হাইব্রিড জাতগুলোই বেশি জনপ্রিয়।  এই গাছ ঘরের পরিবেশে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। গাছটিতে কোনো পাতা নেই আর ক্যাকটাস পরিবারের সদস্য হওয়ার পরেও গাছটিতে কোনো কাঁটা নেই। ছোট চ্যাপ্টা কান্ডগুলোর কিনার খাজকাটা, এরা একটির মাথায় একটি যুক্ত হয়ে প্রায় ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা ঝালর তৈরি করে, আর এই ঝালরের মাথায় ফোঁটে  নানান রঙের ফুল- সাদা, গোলাপি, হলুদ, কমলা, লাল, বেগুনি, মিশ্র। ফুল সাধারণত শীতে ফোঁটে। ফুলগুলো দেখলে মনে হয় একটি ফুলের ভেতর আরেকটি ফুল গেথে রাখা হয়েছে। কান্ড থেকে নতুন চারা করা যায়। আমাদের দেশেও এখন এই গাছগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ...

বোতাম ফুল

ছবি
ফুলের নাম- বোতাম ফুল  বৈজ্ঞানিক নাম- Gomphrena globosa  পরিবার- Amaranthaceae  অন্যান্য নাম- Globe Amaranth, Gomphrena, Bachelor's buttons(ইংরেজি); গুলে মখমল(হিন্দি ও উর্দূ)।  ভারতীয় প্রজাতি। ৫০-৬০ সেমি উঁচু, ঝোপাল। পাতা সরু সরু, ২ সেমি চওড়া। বোতামের মতো গড়নের কাগুজে গ্রথণের গোল গোল মঞ্জরি, লম্বা ডাঁটায় খাড়া, সাধারণত বেগুনি বা সাদা। গ্রীষ্ম ও বর্ষার ফুল। শুকিয়েও রাখা যায়। বীজে চাষ। একটি খাটো জাতও(২৫ সেমি) আছে।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ছবি- নেট  :) :) @}-;-'-;-'-;-----------

পেপার ডেইজি

ছবি
ফুলের নাম- স্ট্র ফ্লাওয়ার, পেপার ডেইজি  বৈজ্ঞানিক নাম- Xerochrysum bracteatum  পরিবার- Asteraceae  অন্যান্য নাম- Everlasting Daisy, Golden Everlasting  অস্ট্রেলীয় প্রজাতি। গাছ ৭৫-৯০ সেমি উঁচু। পাতা লম্বা ও চোখা। কান্ড ও ডালের আগায় ফুলের থোকা। ফুল ৭ সেমি চওড়া, কিনারের পাপড়িগুলো কেন্দ্রের দিকে বাঁকা, মাঝখানে চাকতি, কয়েকটি রঙ- লাল, গোলাপি, হলুদ, পাটকিলে ও সাদা। ফুলের গ্রথন কাগুজে। ফুল সম্পূর্ণ ফোটায় আগে ডালসহ কেটে ঝুলিয়ে রেখে শুকাতে হয়। তাজা ফুলের মতো ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখা যায়। বইয়ের ভাজে ফুলের পাপড়ি বা পাতা রাখার অভ্যাস যাদের আছে, তারা এই ফুলের ব্যবহার করতে পারেন। কাগুজে গ্রথনের জন্য এই ফুল অনেক বছর রেখে দিলেও ছত্রাক বা পোকা জন্মায় না।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা   :) :) @}-;-'-;-'-;----------

বিউমন্টিয়া

ছবি
ফুলের নাম- বিউমন্টিয়া, বামনসিয়া  বৈজ্ঞানিক নাম- Beaumontia grandiflora  পরিবার- Apocynaceae  অন্যান্য নাম- ইস্টার লিলি ভাইন, নেপাল ট্রাম্পিট ফ্লাওয়ার, হেরাল্ড’স ট্রাম্পিট  ভারতীয় প্রজাতি। বড় আকারের চিরসবুজ লতা। কচি ডাল গোলাপী ও রোমশ। পাতা বড়, লম্ব-ডিম্বাকার, ১৬-২৫ সেমি লম্বা, উপর উজ্জ্বল সবুজ, নিচ ফ্যাকাসে। শীত ও বসন্তে ফুল ফোটে। ডালের আগায় বড় বড় থোকায় কয়েকটি সাদা ফুল, সন্ধ্যায় ফোটে, দারুন সুগন্ধি, দিনে ঘ্রাণ কমে যায় বা অনেকসময় একেবারেই ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। ফুল ফানেলের আকার, ১২ সেমি লম্বা ও মুখ ৮ সেমি চওড়া, ৫টি গোলাকার লতি। ফুল দেখতে চাইলে যেতে হবে রমনা পার্কে। সেখানে মাধবীলতা গাছের সাথে আছে বিউমন্টিয়া গাছ। কলম ও দাবাকলমে চাষ। বেশি রোদে ফুল দ্রুত শুকিয়ে যায়।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা   :) :) @}-;-'-;-'-;--------

পপি/অরিয়েন্টাল পপি

ছবি
ফুলের নাম- পপি/অরিয়েন্টাল পপি  বৈজ্ঞানিক নাম- Papaver orientale  পরিবার- Papaveraceae  ইউরোপের প্রজাতি। গাছ ৬০-৯০ সেমি উঁচু। পাতা লম্বাটে, ভল্লাকার, কিনার কাটাকাটা, রোমশ। লম্বা বোঁটায় ফুল, বাটির মতো গড়ন, বড়, ৬-৮ সেমি চওড়া, সিঙ্গল বা ডাবল। নানা রঙের- সাদা, গোলাপী, লাল, বেগুনি এবং অনেক হাইব্রিড জাত রয়েছে। আমাদের দেশে শীত ও বসন্তে ফুল ফোটে। বাগানের সৌন্দর্যবর্ধণে এদের ব্যবহার করা হয়।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা   :) :) @}-;-‘-;-‘-;--------

Skeleton flower

ছবি
 বুনো ফুল, তবে আমাদের দেশে জন্মে না। এদের জন্মস্থান জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড় বা বনে। মতান্তরে, এরা জাপানের হনসু ও হোকাইদো দ্বীপ এবং চীনের ইউনান প্রদেশের বাসিন্দা।  বড় বড় পাতার মাঝে ছোট ছোট সাদা ফুলের বড় এক থোকা। পাতা বড় বলে এই গাছকে অনেকে Umbrella leaf গাছ বলে। উচ্চতায় গাছ ১-২ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ছায়াযুক্ত আর্দ্রস্থানে এরা জন্মে থাকে। ফুল ফোঁটে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত। ফুল শেষে ফল হয়।  এই গাছটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় এর ফুল। গাছের সাদা ফুল গুলো বৃষ্টির ফোটার সংস্পর্শে আসলে ফুলের রঙ হারিয়ে যায়। সাদা ফুল ধীরে ধীরে স্বচ্ছ(Transparent) হয়ে যেতে থাকে। আবার যখন ফুলের পাপড়ি থেকে পানি শুকিয়ে যায় তখন তার হারানো রঙ ফিরে আসে। ফুল আবার আগের মতো সাদা হয়ে যায়। এই ঘটনার জন্য ফুলকে “Skeleton flower” বলা হয়। গাছটির অবশ্য আরেকটি নাম আছে “Gray’s Diphylleia”। বিদেশি গাছ তাই বাংলা নাম নেই। বৈজ্ঞানিক নাম- Diphylleia grayi, পরিবার- Berberidaceae। :) :) @}-;-'-;-'-;-----------

তুড়িচন্ডাল

ছবি
ফুলের নাম- তুড়িচন্ডাল  বৈজ্ঞানিক নাম- Codariocalyx motorius  পরিবার- Fabaceae  অন্যান্য নাম- তুরুকচন্ডাল, বনচন্ডাল, telegraph plant, semaphore plant  তুড়িচন্ডাল(Telegraph plant) এশিয়ার উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোর গুল্মজাতীয় গাছের নাম। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্থান, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বিস্তৃত।  ১৮৮০ সালে চার্লস ডারউইন তার “The Power of Movement in Plants” বইটিতে তুড়িচন্ডাল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেন। তুড়িচন্ডাল গাছটি বিখ্যাত তার দ্রুত নড়াচড়ার জন্য, এজন্য তাকে ড্যান্সিং প্ল্যান্ট ও বলা হয়। সূর্যের আলোক ব্যবহারের জন্য এদের পাতায় এই বিশেষ নৃত্য দেখা যায়। গাছের পাতার এই নৃত্য ভোরবেলা খুব বেশি দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের নড়াচড়ার গতিও কমে আসে।  তুড়িচন্ডাল গাছের পাতার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গাছের প্রতিটি বড় পাতার সাথে রয়েছে ১-৩টি পার্শ্বীয় পত্রিকা। এই পার্শ্বীয় পত্রিকার বিভিন্ন ধরণের নড়াচড়ার কারণে গাছ তার প্রয়োজনমতো আলো গ্রহণ করতে পারে।  ...

পরিচিত কিছু স্যাকুল্যান্ট

ছবি
উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায়, succulent plant হলো স্বাভাবিক পাতার চেয়ে মোটা ও মাংসল পাতা বিশিষ্ট গাছ। এই succulent plant বিভিন্ন ধরণ ও গড়ণের হয়ে থাকে এবং এরা পাতা বা কান্ডে পানি ধরে রাখে। এদেরকে কখনো সাকুলেন্ট আবার কখনো ফ্যাট প্ল্যান্ট বলা হয়।  বেশিরভাগ সাকুলেন্ট এর আদি নিবাস শুষ্ক অঞ্চল যেমন- তৃণলতা বিশিষ্ট সমতল ভূমি, আধা-মরুভূমি বা মরুভূমি। এছাড়া কিছু প্রজাতি আছে এপিফাইট জাতীয়, এরা মাটি-পানি ছাড়াই বাঁচে। পৃথিবীতে কত ধরণের সাকুলেন্ট আছে তার সঠিক সংখ্যা খুঁজে পাইনি। আমাদের পরিচিত সাকুলেন্ট ছাড়াও এখন বিভিন্ন ধরণের সাকুলেন্ট গাছ পাওয়া যাচ্ছে নার্সারীগুলোতে। এদের যত্ন নেয়া খুব সহজ আর ঘর সাজাতেও এদের জুড়ি নেই। পরিচিত কিছু সাকুলেন্ট থাকছে আজকের অ্যালবামে।  ১. পাথরকুচি, পাত্থরফুড়ি, পাষাণভেদ  সবচেয়ে পরিচিত পাথরকুচি গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম- Bryophyllum pinnatum(Syn. Kalanchoe pinnata, Cotyledon pinnata) এই পাথরকুচির আরেক নাম- কপ পাতা, পাটিয়াপুরি, হিন্দিতে জখমী হায়াত আর সংস্কৃতে পাষাণভেদ। ইংরেজিতে Cathedral Bells, Air Plant, Life Plant, Miracle Leaf, Goethe Plant, Katakataka, Lea...

কাঁটামেহেদী

ছবি
ফুলের নাম- কাঁটামেহেদী  বৈজ্ঞানিক নাম- Duranta erecta(Syn. Duranta repens)  পরিবার- Verbenaceae  অন্যান্য নাম- Golden dewdrop, pigeon berry, skyflower প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।  অনেকে দুরন্ত বা দুরন্তকাটা নামেও ডাকে।  আদিনিবাস মেক্সিকো থেকে দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল হলেও আমাদের দেশের পরিবেশের সাথে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। কবে, কিভাবে তাদের এদেশে আগমন তা জানা যায় নি। বাংলা নাম কাঁটামেহেদী হলেও মেহেদী গাছের সাথে এর তেমন ঘনিষ্টতা নেই। বেড়া বা হেজ তৈরিতে এরা খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও বিভিন্ন পার্ক, আবাসিক স্থাপনা, স্কুল-কলেজ বা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাগান সাজাতে এই গাছ লাগানো হয়।  এরা গুল্মজাতীয় গাছ। বাড়তে দিলে এরা প্রায় ২০ফুট লম্বা হতে পারে। কেঁটে-ছেটে সহজেই ছোট করে রাখা যায়। উজ্জ্বল-সবুজ রঙের পাতাগুলোও দেখতে খুব সুন্দর। গাছগুলোকে আরো সুন্দর করতে ফোঁটে নীল রঙের ফুল। একটি পুষ্পমঞ্জরীতে অসংখ্য ফুল ফোঁটে। এভাবে অনেক অনেক পুষ্পমঞ্জরী আর ফুলে ছেয়ে যায় গাছ। হালকা আকাশী ও সাদা ফুলেরও একটি জাত আছে। পাতায় ছোপ ছোপ নকশা করা জাত "variegata"। এই জাতে...

পানামা রোজ

ছবি
ফুলের নাম- পানামা রোজ(Panama Rose), Bush pentas  বৈজ্ঞানিক নাম- Arachnothryx leucophylla(Syn. Rondeletia leucophylla, Rondeletia elongata, Rondeletia dubia)  পরিবার- Rubiaceae  দক্ষিণ মেক্সিকোর প্রজাতি। গোলাপি রঙের ফুলের থোকা দেখতে পেন্টাস ফুলের মতো দেখায়, তাই একে Bush pentas নামেও ডাকা হয়। গাছ ৩-১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। কেটে ঝোপ করে রাখা যায়। পাতা বিপরীত, বোঁটাহীন, ডিম্ব-আয়তাকার, ২ ইঞ্চি লম্বা। ফুল নলাকার, পাপড়ি গোলাপি, নলাকার অংশ রোমশ ও বেগুনি রঙের, কমবেশি সারাবছরই থোকায় থোকায় ফোটে। ফুল সুগন্ধি, দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর ঘ্রাণ বেশি হয়।  আরেকটি প্রজাতি- Rondeletia odorata এর নামও পানামা রোজ, আরেকটি নাম আছে সুরভিত রনডেলেশিয়া (Fragrant Rondeletia)। কিউবা ও পানামার প্রজাতি। এরা ঝোপাল গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ, সাধারণত ২মিটার(৪-৬ফুট)পর্যন্ত উঁচু হয়। পাতা অমসৃণ, বিপরীত, ৫সেমি পর্যন্ত লম্বা।লাল বা কমলা পাঁচ পাপড়ির ফুল মাঝখানে হলুদ নলাকার অংশ, ফুল থোকায় ফোটে।  :) :) @}-;-'-;-'-;----------

সুইট উইলিয়াম, ডায়ান্থাস

ছবি
ফুলের নাম- সুইট উইলিয়াম, ডায়ান্থাস  বৈজ্ঞানিক নাম- Dianthus barbatus  পরিবার- Caryophyllaceae  উত্তর ফ্রান্সের প্রজাতি। কার্নেসন ও পিঙ্কের ঘনিষ্ঠ। গাছ ৩০-৪৫ সেমি উঁচু। পাতা চওড়া, চোখা, গাঢ়-সবুজ। ডালের আগায় ফুলের গুচ্ছ। সিঙ্গল বা ডাবল, সুগন্ধি, নানা রঙের- সিঁদুরে-লাল, বেগুনি, পাটকিলে, গোলাপী, লাল, সাদা ও দাগফুটকি। পাপড়ি রেখাযুক্ত, মাঝখানে সাদা চোখ।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা   :) :) @}-;-‘-;-‘-;---------

গ্লিরিসিডিয়া

ছবি
ফুলের নাম- গ্লিরিসিডিয়া  বৈজ্ঞানিক নাম- Gliricidia sepium  পরিবার- Fabaceae  মধ্য-আমেরিকা ও কলম্বোর প্রজাতি। ১৫-২০ মি উঁচু, ছড়ান গাছ, ডালগুলি মাটির দিকে নোয়ানো, কান্ড ও ডাল সাদা ফোঁটায় ভরা, পত্রমোচী। যৌগপত্র ১-পক্ষল, বিজোড়পক্ষ, ৩০সেমি পর্যন্ত লম্বা, পত্রিকা ৯-১৯টি, ৫-৯ সেমি লম্বা, মসৃণ। বসন্তের শুরুতে নিষ্পত্র গাছ হালকা বেগুনি বা গোলাপী রঙের ফুলের ছোট ছোট থোকায় ভরে উঠে। শিম ফুলের গড়নের ফুল ১.৫-২ সেমি লম্বা, হালকা সুগন্ধি। ফল ১৫*২ সেমি। বীজ প্রায় ১০টি, চ্যাপ্টা, ৮-১২ মিমি চওড়া। বীজে চাষ। লম্বা ডালের কলমও বাঁচে। বাড়ে দ্রুত।  তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা   :) :) @}-;-‘-;-‘-;---------