তুড়িচন্ডাল
ফুলের নাম- তুড়িচন্ডাল
বৈজ্ঞানিক নাম- Codariocalyx motorius
পরিবার- Fabaceae
অন্যান্য নাম- তুরুকচন্ডাল, বনচন্ডাল, telegraph plant, semaphore plant
তুড়িচন্ডাল(Telegraph plant) এশিয়ার উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোর গুল্মজাতীয় গাছের নাম। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্থান, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বিস্তৃত।
১৮৮০ সালে চার্লস ডারউইন তার “The Power of Movement in Plants” বইটিতে তুড়িচন্ডাল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেন। তুড়িচন্ডাল গাছটি বিখ্যাত তার দ্রুত নড়াচড়ার জন্য, এজন্য তাকে ড্যান্সিং প্ল্যান্ট ও বলা হয়। সূর্যের আলোক ব্যবহারের জন্য এদের পাতায় এই বিশেষ নৃত্য দেখা যায়। গাছের পাতার এই নৃত্য ভোরবেলা খুব বেশি দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের নড়াচড়ার গতিও কমে আসে।
তুড়িচন্ডাল গাছের পাতার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গাছের প্রতিটি বড় পাতার সাথে রয়েছে ১-৩টি পার্শ্বীয় পত্রিকা। এই পার্শ্বীয় পত্রিকার বিভিন্ন ধরণের নড়াচড়ার কারণে গাছ তার প্রয়োজনমতো আলো গ্রহণ করতে পারে।
এই গাছ সাধারণত ২-৪ ফুট লম্বা হয়। পাতার বৃন্ত ১-২.৫ সেমি লম্বা; পার্শ্বীয় পত্রিকা ১-২ সেমি লম্বা এবং ৩.৫-৪.৫ মিমি চওড়া; প্রান্তীয় পত্রিকা ২.৫-৭ সেমি লম্বা এবং ৬.৫-১৩ মিমি চওড়া, oblong lance shape, ভোঁতা, উপরে রোমহীন আর নিচে রেশমী।
এই গাছ সাধারণত ২-৪ ফুট লম্বা হয়। পাতার বৃন্ত ১-২.৫ সেমি লম্বা; পার্শ্বীয় পত্রিকা ১-২ সেমি লম্বা এবং ৩.৫-৪.৫ মিমি চওড়া; প্রান্তীয় পত্রিকা ২.৫-৭ সেমি লম্বা এবং ৬.৫-১৩ মিমি চওড়া, oblong lance shape, ভোঁতা, উপরে রোমহীন আর নিচে রেশমী।
অন্যান্য লিগিউম জাতীয় গাছের ফুলের মতো সাদা-হালকা গোলাপী-রক্তবেগুনি বর্ণে সাজানো ছোট ছোট ফুল। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফুল ফোটে। তাজা ফুলের দেখা পাবেন ভোরে বা সকালে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফুল বাসি হয়ে যায়। বাসি ফুল কমলা রঙের।
:) :) @}-;-'-;-'-;-'-;----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন