হয়া

ফুলের নাম- হয়া 
বৈজ্ঞানিক নাম- Hoya spp. 
পরিবার- Apocynaceae 
অন্যান্য নাম- Wax plant, wax vine, wax flower 

প্রায় ২০০-৩০০টি প্রজাতির বেশ বড় একটি গণ Hoya। উদ্ভিদবিজ্ঞানী রবার্ট ব্রাউন তার বন্ধু উদ্ভিদবিদ থমাস হয় এর নামানুসারে গণের নাম হয়া রাখেন। 

হয়ার বেশিরভাগ প্রজাতিই এশিয়ার বাসিন্দা, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া সহ নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়াতে ও প্রাকৃতিক ভাবে অনেক প্রজাতি পাওয়া যায়। হয়ার অনেক প্রজাতি গাছের গায়ে অর্কিডের মতো জন্মে, আবার কিছু প্রজাতি মাটিতেই জন্মে, কিছু আবার পাথরের গায়ে জন্মে। সবচেয়ে বড় জাতের হয়া ভালো অবলম্বন পেলে গাছের গায়ে ৩-৫৯ ফুট বা তারও বেশি জায়গা জুড়ে থাকতে পারে।

 হয়ার পাতা বিপরীতভাবে সজ্জিত থাকে। এরা একধরণের সাক্যুলেন্ট। উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায়, succulent plant হলো স্বাভাবিক পাতার চেয়ে মোটা ও মাংসল পাতা বিশিষ্ট গাছ। এই succulent plant বিভিন্ন ধরণ ও গড়ণের হয়ে থাকে এবং এরা পাতা বা কান্ডে পানি ধরে রাখে। এদেরকে কখনো সাকুলেন্ট আবার কখনো ফ্যাট প্ল্যান্ট বলা হয়। 

হয়া এখন আমাদের দেশি বাগানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। যাদের ছোট বারান্দা বা বারান্দায় রোদ একটু কম থাকে তাদের বারান্দায় হয়া রাখতে পারেন। হয়ার যত্ন করাও খুব সহজ। গাছে পানি স্প্রে, নার্সারী থেকে আনা সার ১৫ দিন পর পর স্প্রে আর মাকড়সা তাড়াতে সাবান-পানি স্প্রে করে দিলেই আপনার গাছটি ভালো থাকবে। 

নানান রঙের ফুলের হয়ার চারা নার্সারীতে পাওয়া যায়। হয়ার ফুলগুলো একটি থোকায় ফোটে। ফুলসহ পুরো থোকাটি দেখতে একটি বলের মতো দেখায়, আর ফুলগুলো দেখতে মোমের তৈরি মনে হয় তাই নাম wax flower। 

ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হয়া ঘরের ভেতরের পরিবেশ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে বেশ কার্যকর। এছাড়া, বিভিন্ন জাতি-গোষ্টী(মূলতঃ-পলিনেশিয়ান) হয়াকে চিকিৎসাক্ষেত্রেও কাজে লাগায়।Hoya parasitica প্রজাতির পাতা জন্ডিসের চিকিৎসায় আর কষ ব্যথায় লাগালে ব্যথা দূর হয়। সুন্দর ফুল, পাতা আর সহজেই মানিয়ে নিতে পারে তাই বাগানে হয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ছবি- নেট 

 :) :) @}-;-'-;-'-;---------

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Dombeya

পলক জুঁই

চামেলি