Cape honeysuckle
ফুলের নাম- Cape honeysuckle
বৈজ্ঞানিক নাম- Tecoma capensis
পরিবার- Bignoniaceae
আদি নিবাস আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল। আমাদের দেশেও আছে। সুন্দর ফুলের জন্য বাগানে এর চাহিদা আছে। গাছটির উজ্জ্বল রঙ যেমন আকর্ষণীয় ফুল-পাতার ধরণ সঠিক সনাক্তকরণে তেমনই দ্বিধায় ফেলে দেয়। ফুলের রঙ ও আকৃতি দেখে ট্রামপিট লতার আত্মীয় মনে হয় অথচ পাতা ভিন্ন।
চাপে honeysuckle গাছের নামের সাথে হানিস্যাকল নামটি থাকলেও এরা সত্যিকার হানিস্যাকল নয়। মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে গাছের নামে আবার সত্যি মিথ্যা কি!? আসলে বেশিরভাগ গাছের ইংরেজি নামের ক্ষেত্রে এই সত্যি-মিথ্যা/True-false এর ব্যাপার আছে। যেকোনো একটি গোত্র/গণ/প্রজাতিকে সত্য/True হিসেবে নাম দিয়ে বোটানিস্টরা অনেকটা মিল আছে কিন্তু সত্য ট্যাগ দেয়া গাছটির সাথে তবুও যথেষ্ট পার্থক্য থাকায় অন্য গাছটির নামের সাথে false শব্দটি জুড়ে দেয়।
যাই হোক, গাছের বর্ণনায় আসি- এরা খুব দ্রুত বর্ধনশীল গুল্মজাতীয় গাছ। গাছ লম্বা হওয়ার সাথে সাথে আশেপাশে ঝোপের সৃষ্টি করে। সাধারণত ২-৩মি লম্বা ও ২.৫মি পর্যন্ত ঝোপ হতে পারে। পাতা বিপরীত, সবুজ বা গাঢ়-সবুজ, পত্রিকা ৫-৯টি, খাঁজকাঁটা, আঁগা কিছুটা সরু। ফুল উজ্জ্বল কমলা রঙের, থোকা করে ফোঁটে, পুষ্পমঞ্জরীর গোড়া থেকে আগার দিকে ফুল ফুঁটতে থাকে। ফুল দেখতে অনেকটা ট্রামপিট লতার মতো লাগলেও পুংকেশরগুলো হানিস্যাকলের মতো বাহিরের দিকে বের হয়ে আসে। প্রতিটি ফুল প্রায় ৩ ইঞ্চি লম্বা হয়, কমলা-লাল, হলুদ, হালকা গোলাপি রঙের জাত আছে। নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে বছরে কয়েকবার ফুল ফোঁটে। ডাল ছেঁটে নির্দিষ্ট আকার দেয়া যায়। এছাড়া, গাছের ছাল বা বাকলের পাউডার ব্যথা কমাতে কার্যকরী।
ছবি- নেট :) :) @}-;-'-;-'-;-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন